বাংলা

"ভুয়া খবর" মোকাবেলা করতে, ভারতের উগ্র ডানপন্থী সরকার রাষ্ট্রীয় ছাড়পত্রের নতুন এক সংস্থা তৈরি করেছে৷

ভারতের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার, হিন্দু- উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে, সামাজিক মিডিয়াতে তার ক্রিয়াকলাপের সমালোচনা করার জন্য নাগরিকদের সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত অধিকারের উপর ক্রমাগত ব্যাপক আক্রমণ চালাচ্ছে।

এটি একটি অফিসিয়াল 'তথ্য অনুসিন্ধান বিভাগ' তৈরির অনুমোদন দিয়েছে যেটির কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থাগুলকে আদেশ করার ক্ষমতা থাকবে যাতে এই অতি-ডানপন্থী সরকার 'ভুয়া বা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর' হিসাবে যা কিছু বিবেচনা করবে তা অপসারণ করতে পারে। 2021 সালে মোদি সরকার দ্বারা ইতিমধ্যে স্থাপন করা গণতান্ত্রিক বিরোধী তথ্য প্রযুক্তি নিয়মগুলি রয়েছে যার সংশোধন একটি আদেশে ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ৬ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে।

কর্পোরেট মিডিয়া সংস্থা এবং সাংবাদিকদের দীর্ঘ স্বীকৃত সংগঠনগুলির সাথে খুব কমই কোন পরামর্শ করা ছাড়াই সরকারী 'গেজেট বিজ্ঞপ্তি' দ্বারা একটি স্বৈরাচারী ভঙ্গীতে এই সমস্ত কিছু করা হয়েছে, ব্যাপক গণতান্ত্রিক বিতর্ককে ছেড়েই দেওয়া যাক। সরকারী গেজেট হল জাতীয় সরকারের সরকারী অঙ্গ, যা সাপ্তাহিকভাবে ডিক্রি, আইন এবং নথি ঘোষণা এবং প্রচারের জন্য প্রকাশিত হয়, যার ফলে বিধানগুলি আইনত বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন। [AP Photo/Aftab Alam Siddiqui]

নতুন নিয়ম অনুসারে, এই তথাকথিত ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট, বা 'সত্যের আমলাতন্ত্র' যেমন কিছু সমালোচক এটিকে যথাযথভাবে নাম দিয়েছেন, অনির্বাচিত এবং যাদের জবাবদিহি করতে হবে না এমন আমলাদেরকে নিয়ে গঠিত, এটি 'ভুয়া বা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর' তথ্যর সনাক্ত করতে ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়গুলির উপর পর্যবেক্ষণ করবে। ' [সাথে] কেন্দ্রীয় সরকারের যেকোনো উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে সন্মান রেখে ।'

এই শব্দটি স্পষ্ট করে যে সরকার বিশেষভাবে তার কাজের প্রতি সমালোচনাকে দমন করতে চায় এবং তার নিজস্ব কর্ম এবং নীতি যাতে প্রকাশ না হয় যার মধ্যে রয়েছে সাম্প্রদায়িকতার নিরলস প্রচার, বড় ব্যবসার সাথে দুর্নীতির সম্পর্ক এবং শাসনের কর্তৃত্ববাদী পদ্ধতির অবলম্বন এবং সম্পূর্ণ অপরাধমূলকতা। যাইহোক, নতুন 'ফ্যাক্ট-চেকার' ছাড়পত্রগুলি কী অপসারণের আদেশ দিতে পারে তার পরিধি এর থেকেও অনেক বেশি। এতে এমন পোস্ট রয়েছে যা 'ভারতের একতা, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব, বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বা জনশৃঙ্খলাকে হুমকি দেয়, বা কোনো অপরাধের তদন্তে বাধা দেয়, বা অন্য কোন রাষ্ট্রকে অপমান।'

এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে হওয়া কথোপকথন বা নিবন্ধগুলির লিঙ্ক যা এমনকি রাষ্ট্র এবং সরকারের সাথে যেগুলির সঙ্গে মোদি সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যেমন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, সৌদি বা ইজরাইলের সমালোচনা করলে, সেগুলি 'তথ্য- অনুসন্ধান' এর ছাড়পত্র/আমলাদের দ্বারা 'ক্ষতিকর' বিবেচনা করা যেতে পারে। তার মধ্যে এমন পোস্টিংগুলিও হতে পারে যা গণ-সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এর ডাক দেয় বা ধর্মঘট বিরোধ এর রক্ষাকে 'প্রয়োজনীয় পরিষেবা' আদেশ করে।

এই ধরনের ক্ষেত্রে, 'ভুয়া খবর' সেন্সরগুলি অনলাইন এর সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে বা টুইটার, ফেসবুক এবং এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ সহ তাদের মধ্যস্থতাকারীদের অবহিত করবে এবং অবিলম্বে এই ধরনের পোস্টগুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে। যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই কোম্পানিগুলি তাদের 'নিরাপদ সুবিধার' সুরক্ষা হারানোর ঝুঁকি নেবে।

2000 সালের আইটি আইনে 'নিরাপদ-সুবিধা' সুরক্ষার অধীনে, টুইটার, ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক-মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মতো মধ্যস্থতাকারীরা তাদের ব্যবহারকারীদের দ্বারা তাদের প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা সামগ্রীর জন্য কোনও আইনি দায় থেকে সুরক্ষিত।

এই নিরাপদ-সুরক্ষা সুবিধা অপসারণের হুমকি দিয়ে, সরকার কেবলমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে তার 'ভুয়া খবর' দমন-অর্ডার প্রয়োগ করতে বাধ্য করতে চায় না। এটি তাদেরকে 'বিতর্কিত' বিষয়বস্তু চিহ্নিতকরণ এবং অপসারণ করতে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, যাতে তারা সরকারের ভালো তালিকায় থাকে।

বিজেপি সরকারের নতুন রাষ্ট্রীয় সেন্সরশিপ সংস্থা এবং প্রবিধানগুলিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য প্রেস সংস্থাগুলির দ্বারা কোনও সমন্বিত প্রচেষ্টা করা হয়নি। দ্য এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া, যেটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য গঠিত একটি সংগঠন বলে দাবি করে, একটি করুণ বিবৃতি জারি করেছে যা আইটি মন্ত্রকের বাক স্বাধীনতার উপর ব্যাপক আক্রমণকে 'দুঃখজনক' বলে অভিহিত করেছে। তারপরে এটি 'মন্ত্রণালয়কে এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করার এবং মিডিয়া সংস্থা এবং প্রেস সংস্থাগুলির সাথে পরামর্শ করার জন্য' আহ্বান জানায়। অন্য কথায়, গিল্ড সোশ্যাল মিডিয়া সেন্সরশিপের জন্য আরও রুচিকর প্রক্রিয়া নিয়ে আসতে অংশীদার হিসাবে পরামর্শ করতে চায়।

একইভাবে স্তালিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) বা সিপিএম সহ বিরোধী দলগুলি মৌলিক অধিকারের উপর এই নির্লজ্জ এবং স্বচ্ছ আক্রমণের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করার জন্য আঙুল তোলেনি। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি ডানপন্থী বিজেপি-বিরোধী নির্বাচনী জোট গঠনে সম্প্রতিকাল পর্যন্ত জাতীয় সরকারে ভারতীয় বুর্জোয়াদের পছন্দের দল কংগ্রেস পার্টিকে সহায়তা করার দিকে মনোনিবেশ করা স্টালিনবাদীরা - একটি সংক্ষিপ্ত, বিবৃতি জারি করেছে সরকারের এই 'ভুয়া খবর' ধরার উদ্যোগের সমালোচনা করে।

শুধুমাত্র এই সর্বশেষ আইটি নিয়মগুলির বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেচ স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুনাল কামরা বোম্বে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেছেন। আদালত কামরার আবেদনের শুনানির সময় পর্যবেক্ষণ করেছে যে 'প্রাথমিক দৃষ্টিতে, নিয়মগুলি প্যারোডি এবং ব্যঙ্গের মতো সরকারের ন্যায্য সমালোচনাকে সুরক্ষা দেয় বলে মনে হয় না।'

সম্প্রতি ব্রিটিশ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী বিবিসি অফিসে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয় মোদি সরকার, 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন' শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রচার করার পর যেখানে মোদীকে 2002 সালের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে মুসলিম বিরোধী গণহত্যায় সরাসরি জড়িত বলে অভিযুক্ত করা হয়, তখন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সরকার ও বিজেপি নেতারা তথ্যচিত্রটির নিন্দা করেছেন, এবং মোদী সরকার এটি দেখার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি মোদী সরকারের দ্বারা কর্পোরেট মিডিয়াকে ভয় দেখানোর ব্যাপকভাবে সফল প্রচারণার আর একটি সম্প্রসারণ।2014 সালে যে নির্বাচনী তরঙ্গ মোদীকে ক্ষমতায় এনেছিল তা অনেকটাই মিডিয়া-চালিত ছিল, কারণ শাসক শ্রেণী বিজেপিকে ঘিরে ধরেছিল এই উদ্দেশ্য করে যে এটি দেশের মধ্যে দ্রুত বিনিয়োগকারী-পন্থী 'সংস্কার' চালাতে এবং তাদের বিশ্ব মঞ্চের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরও আক্রমণাত্মকভাবে অনুসরণ করার জন্য সেরা হাতিয়ার। যাইহোক, সংবাদ মাধ্যমের শক্তিশালী সমর্থন অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য, বিজেপি প্রেসকে ভয় দেখানোর জন্য শক্তিশালী অস্ত্র কৌশল এবং গুন্ডা-স্টাইলের হুমকি ব্যবহার করেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রাক্তন সম্পাদক ববি ঘোষ এই বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন, তিনি জাপান টাইমসের জন্য কর জালিয়াতির অভিযোগে মুম্বাই এবং দিল্লির বিবিসির অফিসে ভারত সরকারের অভিযানের পর একটি কলাম লিখেছিলেন। 'ক্ষমতায় মাত্র দুই বছর,' ঘোষ লিখেছেন, 'মোদি সরকার ইতিমধ্যেই সমালোচনার অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করছে যা বিদেশী সংবাদদাতা হিসাবে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের একনায়কতন্ত্র আমার কাছে পরিচিত ছিল। সরকার বা ক্ষমতাসীন দলের কাছে বিব্রতকর বলে বিবেচিত বিষয়গুলির কারণে নিয়মিতভাবে মন্ত্রী এবং আমলাদের কাছ থেকে ছোটখাটো ফোন কল আসত: হুমকিগুলির সীমা বিজ্ঞাপন বন্ধ করা থেকে শাস্তিমূলক মামলা চালানো শুরু করা আমার ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেন এর তদন্ত এবং যারা আমার পরিবারের সাথে জুড়ে আছে তাঁদেরও।' [গুরুত্ব নিজস্ব]

ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের মতো কোথাও মোদি সরকার সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে এতটা নৃশংস আচরণ করেনি। ১৯শে অক্টোবর, ২০২০-তে, ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরে আগস্ট 2019 সালে মোদি সরকার দ্বারা সাংবিধানিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা বাতিল করার এক বছরের কিছু বেশি পরে, পুলিশ কাশ্মীর টাইমসের শ্রীনগর অফিসে হানা দেয় এবং স্থায়ীভাবে তালা লাগিয়ে দেয়। অনুরাধা বেসিন, প্রকাশনার নির্বাহী সম্পাদক, নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি কলামে বর্ণনা করেছেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস করার জন্য এই অভিযানটি শাস্তি হিসাবে ছিল।'

ভারতে সাংবাদিক হওয়া ইতিবাচকভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, কারণ মোদী সরকার এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকার তাদের নীতির সমালোচনাকারী হিসাবে যে কারোর প্রতি হিংস্র আচরণ করে। তারা অসংখ্য সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছে। কয়েক জনকে, কুখ্যাত ইউএপিএ 'অ্যান্টিটাররিজম' আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিনা বিচারে বছরের পর বছর ধরে কারাগারে রাখা হয়েছে। অলাভজনক সংস্থা, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর অনুসারে, বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারত ১৬১ তম স্থানে রয়েছে৷ 2022 সালে, দেশটি ১৫০ তম স্থানে ছিল।

মোদি সরকার সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে এই সর্বশেষ নিয়ম পরিবর্তনের সঙ্গে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে চলেছে যাতে তার দমনমূলক নাগাল আরও প্রসারিত করা যায় এবং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ, রাজনৈতিক বিরোধী এবং স্বাধীন মিডিয়া কণ্ঠস্বর, বিশেষ করে বামপন্থী এবং সমাজতান্ত্রিকদের দ্বারা করা সমালোচনামূলক মন্তব্য এবং প্রকাশের প্রচার রোধ করা যায়। 2021 সালে আইটি নিয়মের পূর্ববর্তী সংশোধনীগুলি করা সত্বেও, এটি করছে তার কারণ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে 'স্বেচ্ছায়' সরকার দ্বারা চিহ্নিত করা পোস্টগুলি সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছিল যেগুলি 'ভুয়া বা বিভ্রান্তিকর খবর' তা এখনও আদালতের বিচার্য বিষয়। আগস্ট ২০২১-এ, বোম্বে হাইকোর্ট কয়েকটি নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কিন্তু নাগরিকদের মৌলিক স্বাধীন বাক অধিকারের চরমভাবে লঙ্ঘন করলেও সংশোধনগুলি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে অস্বীকার করে।

এটি আবার দেখায় যে আদালত নিজেরাই অতি-ডানপন্থী, হিন্দু-আধিপত্যবাদী মোদি সরকারকে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলিকে পরিকল্পিতভাবে হরণ করতে এবং তার কর্তৃত্ববাদী শাসন চাপিয়ে দিতে সক্ষম করছে। বারবার, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট, যা ক্রমাগত নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের একজন প্রহরী হিসাবে ভঙ্গি করে, মোদী সরকার এবং হিন্দু অধিকারের অবৈধ কাজগুলিকে সবুজ সংকেত দিয়েছে, যেমন ২০১৯ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতির ডিক্রি জারি করার মাধ্যমে মূলত স্বৈরাচারী শাসন আরোপ করা এবং অযোধ্যায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বাবরি মসজিদের জায়গায় ভগবান রামের মন্দির নির্মাণ এর অনুমতি দিয়ে।

Loading