বাংলা
Perspective

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া’র সামরিক চুক্তি চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে

মার্কিন, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে AUKUS সামরিক জোটের এই সপ্তাহে নাটকীয় ঘোষণা পারমাণবিক শক্তিধর শক্তির মধ্যে একটি ভয়াবহ যুদ্ধের গলদ রাস্তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। কয়েক মাসের গোপন আলোচনার মধ্যে, চুক্তিটি প্রশান্ত মহাসাগরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে জোটকে পুনরুজ্জীবিত করে – এইবার এটা চীনের বিরুদ্ধে।

ইউকে ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ২০২১, যার নেতৃত্বে এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, ইউকে ছাড়ছে [ক্রেডিট: রয়েল নেভি/ফ্লিকার]

অস্ট্রেলিয়াকে দূরপাল্লার পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন দিয়ে সজ্জিত করার সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই চুক্তির সামরিকতান্ত্রিক চরিত্রটি তুলে ধরা হয়েছে । পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য পেন্টাগনের সামগ্রিক কৌশলের অংশ হিসাবে তাদের একমাত্র কল্পনাযোগ্য উদ্দেশ্য হল, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চীনা পারমাণবিক সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজ শিকার করা এবং চীনা মূল ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা।

এই জোট সাইবার যুদ্ধ এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াবে, যার মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সেইসাথে সমূদ্র তলদেশে ক্ষমতা ও পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন বাহিনী তৈরিতে সহায়তা করা । অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সংলগ্ন তার উত্তরের সামরিক সুবিধাগুলিতে মার্কিন প্রবেশাধিকার প্রসারিত করবে, দেশটিকে বিশাল আমেরিকান ঘাঁটিতে রূপান্তরিত করবে যেমণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সামরিক অভিযানের সময় ছিল ।

চীন তৎখনাথ AUKUS চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঘোষণা করেছেন যে এটি 'আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে তীব্র করে তোলে', যখন ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস তিনটি দেশকে 'শীতল যুদ্ধের মানসিকতা এবং আদর্শগত কুসংস্কারের' জন্য অভিযুক্ত করেছে।

বেজিং মার্কিন হুমকিকে কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখছে তা গ্লোবাল টাইমসে 'একজন সিনিয়র চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ' এর মন্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে যিনি সতর্ক করেছেন যে চুক্তিটি অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্য বানিয়েছে, কারণ চীন এবং রাশিয়ার মতো পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র তারা সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিনগুলির হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত চাহিদা পূরণ করে।

একটি নতুন 'শীতল যুদ্ধ' সম্পর্কে চীনের রেফারেন্স সামরিক সংঘাতের বিপদকে সম্পূর্ণভাবে বোঝায়। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এবং রবার্ট কস্টা পেরিল নামে একটি নতুন বই প্রকাশ করে বলেছেন যে মার্কিন জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি অসাধারণ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন বেইজিংকে আশ্বস্ত করতে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবরুদ্ধ করার জন্য, যার আশঙ্কা তিনি সামরিক হামলার আদেশ দেবেন, যার মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলাও আছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে AUKUS চুক্তি ইউরোপীয় শক্তির মধ্যে বিভেদকে আরও গভীর করবে। একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপের মাধ্যমে, ঘোষিত জোটের 'চরম গম্ভীরতার' ফলস্বরূপ ফ্রান্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে তার দূত প্রত্যাহার করেছে। প্যারিসে উদ্বেগ শুধু এই নয় যে এটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য ডিজেল-চালিত সাবমেরিন নির্মাণের জন্য ৯০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির সমাপ্তি বুঝতে পারছে, বরং আরো মৌলিকভাবে এর কারণ নিজেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় শক্তি হিসেবে বিবেচনা করলেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন যখন চীনের সাথে তার মুখোমুখি লড়াইকে বাড়িয়ে তুলছে, নতুন চুক্তি ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়াকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে উন্নীত করেছে। পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা যেমন বলেছেন, আমেরিকার 'অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যের চেয়ে ভাল মিত্র নেই।' ফলস্বরূপ, সমস্ত প্রধান শক্তিগুলি যার মধ্যে ইউরোপ ও আছে চীনের পক্ষে বা বিপক্ষে লাইন আপ করার জন্য আরও বেশি চাপের মধ্যে রয়েছে। এশিয়াতে, বাইডেন প্রশাসন ইতোমধ্যে চতুর্ভুজ নিরাপত্তা সংলাপ বা 'চতুর্ভুজ'-জাপান এবং ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার সাথে একটি আধা-সামরিক জোটকে শক্তিশালী করেছে। এই সপ্তাহে ওয়াশিংটনে এর নেতাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা।

ওয়াশিংটনের যুদ্ধ অভিযান আকাশ থেকে বেরিয়ে আসেনি। বরং, ওবামা প্রশাসনের 'এশিয়ার দিকে তাকাও' দিয়ে শুরু হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে, তখন তার বিশাল সামরিক বাহিনী এবং জোট পুনর্গঠন করছে, কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং গোটা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে চীনকে ঘিরে ফেলার ব্যবস্থাগুলিকে সংহত করছে এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে।

মার্কিন যুদ্ধ অভিযানের পেছনে রয়েছে ওয়াশিংটনে ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা যে চীনের অসাধারণ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আমেরিকার বৈশ্বিক আধিপত্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সেই উদ্বেগগুলি কোভিড -১৯ মহামারীর কারণে বেড়ে গেছে যা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নিজের ঘরেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে এবং চীনের উপর মার্কিন অর্থনৈতিক নেতৃত্বকে আরও কাছে নিয়ে এসেছে। গত বছর চীনের অর্থনীতি ২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল যখন মার্কিন জিডিপি ২.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল, যার ফলে কিছু অর্থনীতিবিদ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে চীন ২০২৫ সালের মধ্যে বিস্তৃত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বাইডেন প্রশাসন দ্রুত দেখিয়েছে যে এটি ট্রাম্পের চীন বিরোধী সমস্ত পদক্ষেপকে বজায় রাখবে বিশাল বাণিজ্য যুদ্ধ চীনা কর্পোরেশনগুলির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, যেমন হুয়াওয়ে, দক্ষিণ চীন এবং পূর্ব চীন সাগরে উস্কানিমূলক নৌ অভিযান এবং তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতিতে জোর । উহান ল্যাব এর মিথ্যা এবং উইঘুর 'গণহত্যার' অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি জঘন্য প্রচার সাথে রয়েছে, যার লক্ষ্য হল চীনকে অপমান করা এবং যুদ্ধের প্রস্তুতিতে জনমতকে বিষাক্ত করা।

মার্চ মাসে, মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের বিদায়ী প্রধান অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসন সতর্ক করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ছয় বছরের মধ্যে চীনের সাথে যুদ্ধ করতে পারে এবং তার কমান্ডের বাজেট দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান, যার মধ্যে রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নতুন অস্ত্রের উন্নয়ন। আগত প্রধান অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুইলিনো পরামর্শ দিয়েছেন চীনের সাথে দ্বন্দ্ব 'আমাদের কাছে অনেক নিকটে অন্যদের ভাবনার চেয়ে।”

যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রস্তুতি শুধু আমেরিকান শাসক মহলে এই ভয়কেই চালিত করছে না যে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে ছাড়িয়ে যাচ্ছে সাথে অসাধারণ সামাজিক উত্তেজনা কোভিড-১৯ মহামারীর দ্বারা এবং সামাজিক বৈষম্যকে গভীর করেছে। আমেরিকান শ্রমিক শ্রেণীর শ্রেণী সংগ্রামের পুনরায় উত্থানের ফলে, শাসক শ্রেণী এই সামাজিক উত্তেজনাকে বাইরের 'শত্রুর' বিরুদ্ধে পরিণত করতে চাইছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং আন্তর্জাতিকভাবে শ্রমিকদের 'চীনা আগ্রাসন' এবং 'মানবাধিকার লঙ্ঘনের' মিথ্যা এবং সম্পূর্ণ নিন্দনীয় এবং অবমাননা সহ এই কপট অভিযোগের প্রত্যাখ্যান করা উচিত। চীন নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই অপরাধমূলক নয়া-উপনিবেশিক আক্রমণ এবং দখলদারিত্ব করেছে যা আফগানিস্তান এবং ইরাকের মতো সমগ্র দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এই সমস্ত যুদ্ধে ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া তার প্রধান অংশীদার হয়েছে।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন প্রত্যাহারের সর্বশেষ পরাজয় সত্ত্বেও, ওয়াশিংটন পেন্টাগনের কৌশলগত পরিবর্তনকে 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' থেকে 'মহান শক্তির দ্বন্দ্ব' এর প্রস্তুতিতে নতুন এবং আরো বিপর্যয়মূলক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) শাসনের কাছে যুদ্ধের বিপদগুলির কোন প্রগতিশীল উত্তর নেই। ওয়াশিংটনের সাথে একটি সমঝোতা হতে পারে এই আশাকে আঁকড়ে ধরে বেজিং অস্ত্রের দৌড় অব্যাহত রেখেছে যা কেবল মানবতার বিপর্যয়ের সংকেত। সিসিপি চীনে কর্মরত শ্রমিকদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না পরন্তু অতি ক্ষুদ্র ধনী অভিজাতদের যারা পুঁজিবাদী পুনঃপ্রতিষ্টার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে। যেমন, যুদ্ধ প্রতিরোধে সক্ষম একমাত্র সামাজিক শক্তির কাছে কোন আবেদন করতে অক্ষম — আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণী।

পাঁচ বছর আগে, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য ফোর্থ ইন্টারন্যাশনাল (আইসিএফআই) বিশ্বজুড়ে শ্রমিক ও যুবকদের কাছে একটি আবেদন জারি করে নেমে আসা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে। আইসিএফআই তার “সমাজতন্ত্র এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই” এর বিবৃতিতে এই আন্দোলনের জন্য মৌলিক নীতিগুলি তুলে ধরেছে:

  • যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম হতে হবে শ্রমিক শ্রেণীর উপর ভিত্তি করে, সমাজের মহান বিপ্লবী শক্তি, এর পিছনে জনসংখ্যার সব প্রগতিশীল উপাদানকে একত্রিত করতে হবে।

  • নতুন যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন অবশ্যই পুঁজিবাদবিরোধী এবং সমাজতান্ত্রিক হতে হবে, যেহেতু অর্থের মূলধনের স্বৈরশাসন এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যা সামরিকবাদ এবং যুদ্ধের মূল কারণ, তার অবসানের জন্য লড়াই ছাড়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে কোন গুরুতর সংগ্রাম হতে পারে না।

  • তাই যুদ্ধবিরোধী নতুন আন্দোলন অবশ্যই প্রয়োজন এবং তা সম্পূর্ণ এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বাধীন হতে হবে, এবং পুঁজিবাদী শ্রেণীর সকল রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতিকূল।

  • -নতুন যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন, সর্বোপরি, আন্তর্জাতিক হতে হবে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে একীভূত বিশ্বব্যাপী সংগ্রামে শ্রমিক শ্রেণীর বিশাল শক্তিকে একত্রিত করতে হবে। বুর্জোয়াদের চিরস্থায়ী যুদ্ধের জবাব দিতে হবে শ্রমিক শ্রেণীর দ্বারা স্থায়ী বিপ্লবের দৃষ্টিকোণ দিয়ে, যার কৌশলগত লক্ষ্য হচ্ছে জাতি-রাষ্ট্র ব্যবস্থার অবসান এবং একটি বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা। এর ফলে বিশ্বব্যাপী সম্পদের যথপোযুক্ত, পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং এর ভিত্তিতে দারিদ্র্য মোচন এবং মানব সংস্কৃতিকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করা সম্ভব হবে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার কাজটি আজ আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের জন্য বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষম শ্রমিক শ্রেণীর সুপ্ত বিরোধিতাকে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে একটি সচেতন রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে যা যুদ্ধের মূল কারণ। আমরা আমাদের পাঠকদের আইসিএফআই এবং এর শাখাগুলির সাথে যোগাযোগ করতে এবং যুদ্ধ এবং সামরিকবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জ।নাচ্ছি

Loading