বাংলা

মারুতি সুজুকি ১৩-শ্রমিকদের মুক্ত করো!

এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে গাড়ি কারখানার শ্রমিকদের ভারতীয় আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেবার দু-বছর

ঠিক দুই বছর আগে আজকের দিনে, এক ভারতীয় আদালত ষড়যন্ত্র করে করা মিথ্যা খুনের মামলায় উত্তর ভারতের হরিয়ানার মানেসারে মারুতি সুজুকির গাড়ি তৈরীর কারখানার ১৩ জন সংগ্রামী শ্রমিকদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে।

এই ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনই মারুতি সুজুকি শ্রমিক ইউনিয়ন (এম-এস-ডাব্লু-ইউ)-এর সমগ্র এক্সিকিউটিভ, বা ভারতবর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সমগ্র কার্যকরী সমিতির সদস্য।

সংস্থার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট, রাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ে মানেসরের শ্রমিকরা ২০১১-১২ সালে এম-এস-ডাব্লু-ইউ প্রতিষ্ঠা করেন। একাধিক ওয়াকআউট এবং ধর্না ও ধর্মঘট যা এই মানেসরের গাড়ি তৈরীর কারখানাকে ভারতের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর দিল্লীর শহরতলীতে গুরগাও-মানেসর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক প্রতিরোধের কেন্দ্র হিসাবে বদলে দিয়েছিল - সেই ওয়াকআউট ও ধর্না ধর্মঘটের পরম্পরার ফল হিসাবেও এম-এস-ডাব্লু-ইউ প্রতিষ্ঠিত হয়।

রাম মেহের, সন্দীপ ধিলোন, রাম বিলাস, সরবজিৎ সিং, পবন কুমার, সোহান কুমার, আজমের সিং, সুরেশ কুমার, অমরজিৎ, ধনরাজ বাম্বি, প্রদীপ গুজ্জার, যোগেশ ও জিয়ালাল - এই ১৩ জন শ্রমিকের একমাত্র "অপরাধ" ছিল এই যে এই জাপানী বহুজাতিক কর্মক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, যার মধ্যে ছিল সামান্য মাইনে, প্রবল কাজের চাপ এবং অনিশ্চিত চুক্তিভিত্তিক কাজ, এই সবের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ তাতে তাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

মারুতি সুজুকি ১৩-রা এক বিশাল ষড়যন্ত্রের শিকার। এই ষড়যন্ত্রে জড়িত আছে ভারতের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্ততকারক, পুলিশ, বিচারকরা, হরিয়ানার রাজ্য সরকার, এবং ভারতের প্রধান বড় ব্যবসার দলগুলি, যথা নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টি।

তারা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছে সংস্থার মানবসম্পদ ম্যানেজার অশ্বিনী কুমার দেবকে খুন করার অপরাধে এই শ্রমিকরা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছে। ২০১২ সালের ১৮ই জুলাই কারখানায় পরিচালন সমিতির সৃষ্টিকরা এক গন্ডগোলে আগুন লাগার ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান অশ্বিনী কুমার দেব। তবু এই আগুন লাগার ঘটনার পিছনে যে এই ১৩ জন শ্রমিক অথবা মারুতি সুজুকির কোনো শ্রমিক আছেন, তার বিন্দুমাত্র প্রমাণ নেই।

আরও মারাত্মকভাবে বিবাদী কাউন্সেল বিচারের সময় দেখায় যে পুলিশ নকল প্রমাণ তৈরী করেছে, মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে, এবং মালিক পক্ষের সঙ্গে অবৈধ ভাবে অশুভ আঁতাত করেছে। এই প্রমাণ এতই অকাট্য ছিল যে বাকি ১১৮ শ্রমিক, যাদেরকেও একই রকমভাবে খুন ও অন্যান্য ভয়াবহ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল, বিচারক তাদেরকে সম্পূর্ণ ভাবে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন।

কিন্তু বিচারক রাজিন্দর পাল গোয়াল তা করেন কেবলমাত্র তাদের বিরুদ্ধেষ ড়যন্ত্র ও নকল, সাজানো অভিযোগ বহাল রাখতে, যারা সংস্থা ও রাজ্যর প্রতিহিংসার প্রধান লক্ষ্য ছিলঃ তারা হলেনএম-এস-ডাব্লু-ইউ এর নেতারা।

তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার ও মার্চ ২০১৭-তে তারা সোষী সাব্যস্ত হওয়ার মাঝের প্রায় পাঁচ বছরে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী সহ ভারতীয় সরকারী ও বিচারবিভাগীয় আধিকারিকরা বারবার আর্জি জানিয়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিন্ত করার জন্য মারুতি সুজুকি শ্রমিকদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।

বিশেষ কৌঁসুলি অনুরাগ হুডা ঘোষণা করেনঃ "আমাদের শিল্প বৃদ্ধির হার পড়ে গেছে, এফ-ডি-আই বা সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ কমে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি "ভারতে গঠন"-এর ডাক দিচ্ছে, কিন্তু এমন সব ঘটনা আমাদের সুনাম নষ্ট করছে"।

২০শে মার্চ, ২০১৭-তে করা এক বিবৃতিতে চতুর্থ আন্তর্জাতিকের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি এবং ওয়ার্ল্ড সোশ্যালিস্ট ওয়েবসাইট বিশ্বের সমস্ত শ্রমিকদের আর্জি জানিয়েছিল মারুতি সুজুকির শ্রমিকদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, "মারুতি সুজুকি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র-সংস্থার প্রতিহিংসাকে পরাজিত করতে ভারতবর্ষ, দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশ্বের সর্বত্র শিল্পের শ্রমিকদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করাতে এবং শ্রমিকদের স্বাধীন রাজনৈতিক শক্তি বাড়িয়ে তুলতে আই-সি-এফ-আই একটি আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষামূলক প্রচার শুরু করছে।"

এর দু-বছর পরে আমরা সেই দাবিকে তীব্রতর করে তুলছি। মারুতি সুজুকি ১৩ শ্রেণীর সংগ্রাম এর যুদ্ধবন্দী যাদের ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মত দুঃস্বপ্নের মধ্যে সাড়ে ছয় বছর কাটাতে হয়েছে। এছাড়াও ২০১২ সালে তারা গ্রেপ্তার হবার পর তাদের ওপর এমন শারিরীক নির্যাতন হয় যা অত্যাচারের পর্যায়ে পড়ে।

আই-সি-এফ-আই তাদের ২০১৭-র বিবৃতিতে যেমন ব্যাখ্যা করেছিল, মারুতি সুজুকির শ্রমিকদের ষড়যন্ত্রে জড়ানো এবং জেলে পাঠানো "এক সার্বজনীন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে চরম উদাহরণ। প্রতিটি দেশে বড় কর্পোরেশনগুলি এবং তাদের ভাড়াটে রাজনৈতিক কর্মীরা শ্রমিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করছে...কোনো দেশের শ্রমিকদের পক্ষে সম্ভব নয় নিজেদের রক্ষা করা যদি না তারা সারা বিশ্ব জুড়ে সব শ্রমিকের সামাজিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার সার্বজনীন সংগ্রামে তাদের শ্রমিক ভাই-বোনেদের সঙ্গে সংগঠিত না হয়।"

কর্মক্ষেত্রের ভয়াবহ শোষণের অবস্থাকে স্পর্ধা জানিয়ে মারুতি সুজুকি শ্রমিকরা কেবলমাত্র ভারতবর্ষে নয়, বিশ্বের সব জায়গার শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আঘাত হানছিল। সেই জন্যই তাদের রক্ষা করার প্রক্রিয়াও বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গাড়ির শ্রমিকদের এবং সব শ্রমিকদের যে আন্তর্জাতিক ভাবে সংগঠিত হতে হবে, তার প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ হওয়া উচিত।

মারুতি সুজুকির শ্রমিকদের মুক্তি দাবি করে সোশ্যালিস্ট ইকুয়ালিটি পার্টি (শ্রীলঙ্কা) একটি ধর্নার আয়োজন করেছে

মারুতি সুজুকি ১৩-কে অবিলম্বে মুক্ত করার জন্য আই-সি-এফ-আই আন্দোলনকে তীব্র করার যে ডাক দিয়েছে, তাতে এম-এস-ডাব্লু-ইউ-এর অস্থায়ী কমিটির একজন নেতা যোগ দিয়েছে। মারুতি সুজুকির শ্রমিকরা এই অস্থায়ী কমিটি স্থাপন করেছিলেন, কারণ এম-এস-ডাব্লু-এই-এর নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে জেলে পাঠানোর পর সরকারের অনুমোদনে আগস্ট ২০১২-তে মারুতি সুজুকি তাদের মানেসরের শ্রমিকদের মধ্যে যে শোধনের প্রক্রিয়া শুরু করে তার জন্য ২৪০০ স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের বরখাস্ত এবং প্রতিস্থাপন করা হয়।

গত সপ্তাহান্তে ডাব্লু-এস-ডাব্লু-এস-কে এম-এস-ডাব্লু-ইউ-এর অস্থায়ী কমিটির নেতা জিতেন্দর বলেন, "আমি এই অবকাশে আন্তর্জাতিক ভাবে শ্রমিকদের ডাক দিই মারুতি সুজুকি শ্রমিকদের মুক্তির জন্য এবং অন্যান্য ভারতীয় শ্রমিকরা যারা বহুজাতিক কর্পোরেশন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ভারতীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের করা ভয়াবহ শোষণ থেকে নিজেদের রক্ষা করছে তাদের সাহায্যে ও রক্ষায় এগিয়ে আসতে।"“

জিতেন্দর জোর দিয়ে বলেন যে রাজ্য ও রাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে নিজেদের সংগ্রামকে সংঘবদ্ধ না করলে শ্রমিকরা বিশ্বজুড়ে সংগঠিত বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলিকে পরাজিত করতে পারবে না। "ঠিক যেমন পুঁজিবাদীরা বিশ্ব জুড়ে সংগঠিত, তেমনই আমাদেরও উচিত বিশ্বের সমস্ত শ্রমিকদের একটি সংগঠন তৈরী করা। এটাই এই সময়ের প্রয়োজন।"

পুঁজিবাদী রাষ্ট্র যন্ত্র অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে শ্রমিক শ্রেণীকে শোষণ করাকে - এই বিষয়টি প্রকাশ করা আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভারতে ও সারা বিশ্বে শ্রমিকদের মারুতি সুজুকির শ্রমিকদের রক্ষা করার সংগ্রামে সংগঠিত করার অংশ হিসাবে ওয়ার্ল্ড সোশ্যালিস্ট ওয়েবসাইট আদালতের মোকদ্দমার ওপর ভিত্তি করে ষড়যন্ত্রের বিষয়টির বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছে। সেটি এখানে পাওয়া যাবে: “The frame-up of the Maruti Suzuki workers—Part 1: A travesty of justice”).

মূল বিষয়গুলি হলোঃ

বিচারক ১৮ই জুলাই, ২০১২-তে কারখানায় উপস্থিত থাকা সমস্ত শ্রমিকদের সাক্ষীর তালিকা থেকে নির্বিচারে বাদ দেওয়ার বিষয়টি এই যুক্তিতে সমর্থনকরে যে হয় তারা ইউনিয়নের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করবে, নয় তো তারা ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবে;

পুলিশ যাকে প্রমাণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলছে, তারা সেইসব জিনিসের ওপর সঠিক ভাবে ক্রমান্বয়ে ফরেনসিক পরীক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে ;

পুলিশও বাদী পক্ষ মকদ্দমায় তাদের বর্ণনার মূল উপাদানগুলি বারবার বদল করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কারখানায় গন্ডগোলের সময়ে শ্রমিকরা গাড়ির কোন্‌ অংশ অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ;

বিচারক গোয়াল প্রমাণ দেখানোর দায়িত্ব বারবার রাজ্যের ওপর থেকে চাপিয়ে দিচ্ছিলেন শ্রমিকদের ওপর এবং তিনি নিজেও বিবাদী পক্ষের মামলার ফাঁক ঢাকবার জন্য বক্তব্য ও ঘটনা পেশ করছিলেন।

গুরগাঁও-মানেসর শিল্পাঞ্চলে এবং ভারতেও বিদেশে যেখানেই শ্রমিকরা মারুতি সুজুকি শ্রমিকদেরও পরে নির্যাতনের কথা শুনেছে, সেখানেই ষড়যন্ত্রে শিকার এই মারুতি সুজুকি শ্রমিকদের জন্য তারা সমবেদনা জানিয়েছে।

কিন্তু যে ট্রেডইউনিয়নগুলি এবং ভারতের যে রাজনৈতিকদলগুলি নিজেদের বামপন্থী বলে ভান করে, বিশেষ করে দুইস্তালীনপন্থী সাংসদীয় দল, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (সি-পি-আই) এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদী) বা সি পি এম, এবং তাদের ট্রেড ইউনিয়নগুলি, যথাক্রমে অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (এ-আই-টি-ইউ-সি) এবং সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস্‌ (সি-আই-টি-ইউ), নির্মমভাবে এই মারুতি সুজুকি ১৩-কে পরিত্যক্ত করেছে।

স্তালীন পন্থী দলগুলি মারুতি সুজুকি শ্রমিকদের অপরাধী বলে গণ্য হওয়ার এবং দন্ডিত হবার খবর মানুষকে জানায়নি এবং এপ্রিল ২০১৭-র শুরুর দিক থেকে তাদের নৈঃশব্দের আড়ালে পাঠিয়ে দিয়েছে। এর কারণ তারা মারুতি সুজুকি শ্রমিকদের সংগ্রামী উদাহরণ কে ভয় পায় এবং এই শ্রমিকদের সমর্থনে শ্রমিকশ্রেণী কে টেনে আনতে বিশাল প্রচার করলে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি তে তাদের কৌশল এবং মালিক পক্ষের সঙ্গে তাদের নিজেদের আরামদায়ক সম্পর্কে বাধা পড়বে। এর মধ্যে পড়ে ভারতের কংগ্রেসের সঙ্গে এবং বিভিন্ন জাতিভিত্তিক আঞ্চলিকদলের সঙ্গে ভারতের আগামী এপ্রিল-মে-র বহু পর্যায়ের নির্বাচনে তাদের সঙ্গে একদক্ষিণপন্থী "বিকল্পধর্মনিরপেক্ষ" জোট করার প্রচেষ্টা, যা তারা গত তিনদশকে বারবার করেছে।

গত দুই বছরে স্তালীনপন্থী দলগুলি এবং তাদের ইউনিয়নদের করা বিশ্বাসঘাতকতার আরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। অবিরাম শোষণ ও নির্মমতার বিরুদ্ধে শ্রমিকরা রুখে দাঁড়ানোয় ভারতবর্ষে এবং সারা বিশ্বে শ্রমিক আন্দোলনের এক নাটকীয় উত্থান দেখা যাচ্ছে। মেক্সিকোর মাতামোরাসের অটো শ্রমিকদের থেকে শুরু করে ফ্রান্সে ইয়োলো ভেস্ট প্রতিবাদ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকদের ধর্মঘট এবং আলজেরিয়ায় গণ-অভ্যুত্থান - এই সংগ্রামগুলি পুঁজিবাদ-পন্থী ট্রেড ইউনিয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক বামপন্থী দলগুলির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের রূপ ধারণ করছে।

শ্রমিক শ্রেণীর বিশ্বব্যাপী এই উত্থান মারুতি সুজুকি ১৩-র মুক্তির উদ্দেশ্যে নতুন আন্দোলন শুরু করার ভিত্তি প্রস্তুত করছে। আমরা সকল ডাব্লু-এস-ডাব্লু-এস পাঠকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি মারুতি সুজুকির শ্রমিকদের কথা সারা পৃথিবীর সমস্ত শ্রমিক ও যুবদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার জন্য; সকলের কাছে ব্যাখ্যা করার জন্য কি ভাবে এই ষড়যন্ত্রই বিশ্বব্যাপী সমসাময়িক শ্রেণী সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে; এবং কি ভাবে এই শ্রমিকদের রক্ষা করার আন্দোলন পুঁজিবাদী শোষণ এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণীর একত্রিত লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং অবশ্যই তা করবে।

Loading