বাংলা
Perspective

বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের ঢেউ এবং বিপ্লবী নেতৃত্বের সংকট

বিশ্বজুড়ে, বৈষম্য এবং পুঁজিবাদী শোষণের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণীর বিরোধিতা ধর্মঘট ও প্রতিবাদের আকারে গড়ে উঠছে।

শ্রেণী সংগ্রামের বৃদ্ধি হচ্ছে একটি বিশ্বব্যাপী মহামারীর তিন বছর পর যা অকারণে কয়েক মিলিয়ন মানুষের জীবন নিয়েছে, এবং ইউক্রেন যুদ্ধর সপ্তম মাস যা আরও কোটি কোটি মানুষের জন্য অনাহার, দারিদ্র্য এবং মুদ্রাস্ফীতিতে ইন্ধন দিয়েছে। এই বস্তুনিষ্ঠ আন্দোলন যার ক্ষমতা আছে বিশ্বকে পারমাণবিক অতল গহ্বরের দিকে নিয়ে চলা সাম্রাজ্যবাদী পাগলদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেবার এবং সমাজতান্ত্রিক সাম্যের নতুন যুগের সূচনা করার।

মাসিক বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অবসরপ্রাপ্তরা লেবাননের ডাউনটাউন বৈরুতে বিক্ষোভ চলাকালীন সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সোমবার, 26 সেপ্টেম্বর, 2022 [AP Photo/Bilal Hussein]

আন্তর্জাতিক শ্রমিকশ্রেণীর অসাধারণ সম্ভাবনাময় ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু এই শক্তিকে উন্মোচন করার জন্য তাকে ট্রেড ইউনিয়নের দমন-পীড়ন থেকে মুক্ত হতে হবে এবং বিপ্লবী সামাজিক শক্তি হিসেবে তার ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করা ট্রেড ইউনিয়নগুলি এই ক্রমবর্ধমান আন্দোলনকে দমন করতে এবং সবচেয়ে জঙ্গি সংগ্রামগুলিকে বিচ্ছিন্ন করতে কর্পোরেশন এবং পুঁজিবাদী দলগুলির সাথে প্রতিটি দেশে কাজ করছে। তাদের দ্বারা সৃষ্টি এই দমণকৃত অবস্থা ভাঙ্গতে যে লড়াই তা একটি রাজনৈতিক সংগ্রাম যার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রয়োজন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন/ন্যাটোর যুদ্ধের কারণে সর্বত্র শ্রমিক শ্রেণী মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

আর্জেন্টিনাতে, ব্রিজস্টোন এবং পিরেলির ৫,৬০০ টায়ার শ্রমিক কর্পোরেশন এবং প্রো-কর্পোরেট ইউনিয়নগুলির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ধর্মঘট শুরু করার পরে সমগ্র দেশের গাড়ী উত্পাদনকে প্রভাবিত করেছে। হাইতিতে, ধর্মঘট এবং গণ-বিক্ষোভ সপ্তম সপ্তাহ ধরে অব্যাহত রয়েছে কারণ দেশের অবকাঠামো মূলত ধসে পড়েছে এবং শ্রমিকরা তৃষ্ণা, অনাহার, হিংসা, করোনভাইরাস এবং এখন কলেরায় মারা যাচ্ছে।

আফ্রিকা জুড়ে শ্রেণী সংগ্রাম গড়ে উঠছে, জনসংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন। দক্ষিণ আফ্রিকায়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রান্সনেট কোম্পানি মাত্র ১.৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়ার পরে হাজার হাজার শ্রমিক বৃহস্পতিবার দেশের রেলপথ এবং বন্দরগুলি বন্ধ করে দেবার পরিকল্পনার কারণে একটি সাধারণ ধর্মঘট তৈরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। জুলাই মাসে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি থাবো এমবেকি দেশে একটি 'আরব বসন্ত-ধরনের বিদ্রোহ' গড়ে ওঠার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

তিউনিসিয়ায়-যেখানে বিক্ষোভকারীরা ১১ বছর আগে আরব বসন্ত বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছিল-ইউজিটিটি ইউনিয়নের প্রধান সতর্ক করেছেন যে এটি আইএমএফের ব্যয় কঠোরতা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সামনের সপ্তাহগুলিতে গণ ধর্মঘট প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে না। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা বর্তমানে ক্যামেরুন, মালি, বুর্কিনা ফাসো এবং আইভরি কোট ডিভোয়ার সহ ১৮টি আফ্রিকান দেশে ধর্মঘট করছে।

ইরান সহ মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়া জুড়ে ধর্মঘট চলছে, যেখানে শ্রমিকদের বিক্ষোভ 'ঠিকভাবে' হিজাব না পরার জন্য ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে নৃশংসভাবে পুলিশ হত্যা করার প্রতিবাদের যে ব্যাপক বিক্ষোভ তার সাথে মিলে যাচ্ছে। প্রতিবেশী ইরাকে, কয়েক দশক ধরে মার্কিন যুদ্ধ ও দখলদারিত্বের কারণে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং দারিদ্র্যের প্রতিক্রিয়ায় সপ্তাহান্তে দেশজুড়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।

লেবাননে, একটি জাতীয় শিক্ষক ধর্মঘট চলছে যখন বিক্ষোভকারীরা তাদের আমানতের দাবিতে চারটি ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে। বৈরুতের একজন মহিলা তার ২৩ বছর বয়সী বোনের ক্যান্সারের চিকিত্সার জন্য অর্থ যোগাতে নিজের জমাকৃত অর্থ ওঠানোর অনুমতি দেওয়ার দাবিতে একটি নকল পিস্তল নিয়ে ব্যাংকে প্রবেশ করার পরে জাতীয় নায়ক হয়ে ওঠেছে। শ্রীলঙ্কায়, কৃষি ও শিল্প শ্রমিকদের ধর্মঘট ও বিক্ষোভ দ্বীপটিকে ঘিরে রেখেছে।

বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের কেন্দ্রগুলোতেও শক্তিশালী ধর্মঘট আন্দোলন গড়ে উঠছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটো যুদ্ধে ইন্ধন দেওয়ার জন্য সরকারগুলি যখন হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালছে, লন্ডন, বার্লিন এবং প্যারিসের মতো শহরগুলির জনসাধারণ অসহনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যা জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে বেড়ে উঠেছে।

ফ্রান্সে, জ্বালানি কর্মীদের দ্বারা চলমান ধর্মঘট দেশের তেল পরিশোধন ক্ষমতার ৬০ শতাংশ বন্ধ করে দিয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে আড়াই লক্ষ শ্রমিক ধর্মঘট করেছে।

যুক্তরাজ্যে, ১,৭০,০০০ রেলপথ শ্রমিক, ডাক শ্রমিক, লিভারপুল এবং ফেলিক্সস্টোর বন্দর শ্রমিকরা এবং শ্রমিক শ্রেণীর অন্যান্য অংশ ব্রিটিশ শাসক শ্রেণীর দ্বারা রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুকে 'জাতীয় ঐক্য' বলে প্রভাবিত করে ব্যবহার করার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করে ধর্মঘটে সেই বাধকে ভেঙেছে।

জার্মানিতে, সতর্কীকরণ ধর্মঘট তৈরি হচ্ছে কারণ সাত মিলিয়ন শ্রমিকের চুক্তির মেয়াদ একই সাথে শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে বিক্ষোভ বাড়ছে। জার্মানি, গ্রীস, নরওয়ে, কসোভো, হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া সহ ইউরোপে শিক্ষকদের ধর্মঘটের ঢেউ চলছে। বেলজিয়ামেও ধর্মঘট করছে রেল শ্রমিকরা। কানাডায়, ৫৫,০০০ শিক্ষা সহায়তা কর্মীরা ফোর্ড সরকারের ব্যয় কঠোরতা শাসনের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শ্রেণী সংগ্রামের বিকাশে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের মূল পরিচালন কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কয়েক দশক পর যেখানে AFL-CIO কৃত্রিমভাবে শ্রেণী সংগ্রামকে দমন করেছে, শ্রমিকরা এই বিশাল ইউনিয়ন আমলাতন্ত্রের মোকাবিলা করছে এবং তাদের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।

১,২৫,০০০ এরও বেশি রেলপথ শ্রমিকরা ধর্মঘট করতে আগ্রহী এবং রেলপথ ইউনিয়নগুলির বিরুদ্ধে স্বাধীন প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে, যা মার্কিন অর্থনীতিকে কার্যকরভাবে বন্ধ করে দিতে পারে এমণ একটি ধর্মঘটকে অবরোধ করার জন্য ইউনিয়ান রেল ক্যারিয়ারগুলির সাথে ষড়যন্ত্র করছে।

Sysco দ্বারা নিযুক্ত ড্রাইভার এবং গুদাম এর শ্রমিকদের মধ্যে উত্তর-পূর্ব জুড়ে ধর্মঘট গড়ে উঠছে, টিমস্টাররা সতর্ক করেছে যে 'এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।' ওহিওর কলম্বাসে ক্রোগার দ্বারা নিযুক্ত মুদি দোকানের শ্রমিকরা সম্প্রতি তৃতীয়বারের জন্য ইউনাইটেড ফুড অ্যান্ড কমার্শিয়াল ওয়ার্কার্সের দ্বারা পৌঁছানো একটি প্রো-কর্পোরেট চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বর্তমানে চতুর্থবার একই চুক্তিতে ভোট দিতে বাধ্য হচ্ছে।

পশ্চিম উপকূলে, ২৫,০০০ বন্দর শ্রমিক জুন থেকে চুক্তি ছাড়াই কাজ করছে, যখন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০,০০০ কর্মচারী এবং ৫০,০০০ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার মুদি শ্রমিকদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। স্টেটেন আইল্যান্ড, নিউইয়র্কের JFK8-এ অ্যামাজন শ্রমিকরা গতকাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ ছেড়ে বেরিয়ে আসে যখন পরিচালনাকরীরা তাদের আংশিকভাবে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি জায়গায় ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছিল।

কর্নেল ইউনিভার্সিটির মতে, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ৮০,০০০ শ্রমিক জড়িত ছিল ১৮০টি ধর্মঘটে, যা ২০২১ সালের প্রথমার্ধে ধর্মঘটকারী শ্রমিকের সংখ্যার তিনগুণ। কর্নেলের শ্রম অ্যাকশন ট্র্যাকারের পরিচালক জনি ক্যালাস দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, “ধর্মঘট প্রদর্শিত হচ্ছে আমরা পতনের দিকে যাওয়ার সাথে সাথে তা বাড়তে থাকব।'

উত্তর গোলার্ধে শীত ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বিশ্লেষকরা শ্রেণী সংগ্রামের আরও বিস্ফোরণের পূর্বাভাস দিচ্ছেন।

ভেরিস্ক ম্যাপলেক্রফ্ট সেপ্টেম্বরে সতর্ক করেছিলেন যে 'বিশ্ব নাগরিক অস্থিরতার অভূতপূর্ব বৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছে কারণ সমস্ত স্ট্রাইপের সরকার প্রধান খাদ্য এবং জ্বালানির মূল্যের উপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের সাথে লড়াই করছে।'

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম গত সপ্তাহে রিপোর্ট করেছে যে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমছে এবং 'সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে।' প্রতিবেদনটি সতর্ক করেছে যে অনেক দেশে, 'আরও ব্যয় সীমাবদ্ধ বা অসম্ভব, কিছু সরকারের আর্থিক সংস্থান ফুরিয়ে আসছে, জীবনযাত্রার সংকটের ব্যয় পরিচালনা করার ক্ষমতা হ্রাস করছে।'

অন্য কথায়, যদিও পুঁজিবাদী সরকারগুলি ২০০৮ সালের আর্থিক বিপর্যয়ের পরে এবং আবার ২০২০ সালে মহামারী শুরু হওয়ার পরে ব্যাঙ্ক এবং কর্পোরেশনগুলিকে সমস্যা থেকে বের করে আনতে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল, বিশ্বের সেই 'ধনী' দেশগুলিতে শীতকালে শ্রমিকদের ঘর গরম করাও 'অসম্ভব'।

এই আন্দোলনের ক্ষমতা আছে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ বন্ধ করার, কোভিড-১৯ এর বিস্তার পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি বাস্তবায়নের এবং আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর মানবিক চাহিদা মেটাতে বিশ্বের সম্পদ পুনঃবন্টন করার। কিন্তু ট্রেড ইউনিয়ন আমলাদের দ্বারা কয়েক দশক ধরে চলে আসা শ্রমিক আন্দোলনের যে দমন-পীড়ন তাকে ভাঙ্গার পক্ষে শ্রেণী সংগ্রামের স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশই যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব।

চতুর্থ আন্তর্জাতিকের প্রতিষ্ঠার নথিতে, লিও ট্রটস্কি লিখেছিলেন, 'সামগ্রিকভাবে বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রধানত সর্বহারা শ্রেণীর নেতৃত্বের ঐতিহাসিক সংকট দ্বারা চিহ্নিত।' এটি ১৯৩৮ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালের মত আজকের দিনেও সত্য।

শ্রমিক শ্রেণী আগের চেয়ে অনেক বড় এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত। কিন্তু প্রতিটি সংগ্রামে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজ হল তাদের লড়াইকে প্রসারিত করা, সংগ্রামরত অন্যান্য অংশের সাথে একত্রিত হয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর বিশাল সামাজিক শক্তিতে টোকা দেওয়া, ট্রেড ইউনিয়নের দ্বারা সংগঠিত নয় এমন শ্রমিকদের মধ্যে থেকে মিত্রদের জয়লাভ করা, এবং ট্রান্সন্যাশনাল কর্পোরেশনগুলির বিরুদ্ধে অভিন্ন সংগ্রামে জাতীয় সীমানা অতিক্রম করা। এর অর্থ হল সচেতনভাবে সংগ্রামকে এই নিয়োগকর্তা বা সেই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে নির্দেশিত করা নয়, পরন্তু সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পরিচালনা করা।

এটি হল ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স অফ র‍্যাঙ্ক-এন্ড-ফাইল কমিটির (IWA-RFC) উদ্দেশ্য, যা ২০২১ সালের মে মাসে ফোর্থ ইন্টারন্যাশনালের ইন্টারন্যাশনাল কমিটি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, যার লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর সমস্ত ভিন্ন ভিন্ন সংগ্রামকে সমন্বয় করে ঐক্যবদ্ধ বিশ্বব্যাপী আন্দোলন। সর্বোপরি, যা প্রয়োজন তা হল পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদীয়মান সংগ্রামগুলিকে পরিচালনা করার জন্য সমাজতান্ত্রিক নেতৃত্ব গড়ে তোলা।

Loading