বাংলা

ভারতীয় গাড়ী নির্মান শ্রমিকরা কর্মকর্তাদের আক্রমণ এবং ইউনিয়নের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে ব্যাপক জঙ্গি সংগ্রাম শুরু করেছে৷

চাকরি হারানো, নিরলসভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা আক্রমণ এবং বারংবার ইউনিয়নের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে গত মাসে হাজার হাজার ভারতীয় গাড়ী নির্মান শ্রমিকরা জঙ্গি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে, এই পদক্ষেপগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে কর্পোরেট পন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলির বিরুদ্ধে প্রকাশ্য লড়াইয়ের রূপ নিয়েছে।

চেন্নাই ফোর্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিএফইইউ) এর চুক্তি মত দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ুতে ফোর্ড এর অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট বন্ধ করার সময় তাতে চাকরি হারানো হাজার হাজার শ্রমিকদের একটি অংশের বিদ্রোহ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইয়ামাহা মোটরস এবং রেনল্ট-নিসান প্ল্যান্টের শ্রমিকরা একইভাবে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবাদুর-ওরাগাদাম শিল্প তালুকে অবস্থিত কোম্পানি পন্থী ইউনিয়নগুলির বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু করেছে যারা দীর্ঘকাল ধরে কম মজুরি, কাজের গতি বৃদ্ধি এবং চুক্তি-শ্রম এবং অন্যান্য ধরণের বহু-স্তরে কাজ দেবার মাধ্যমে শ্রমিকদের বিরোধিতাকে দমন করেছে। ।

এদিকে, উত্তর ভারতের রাজ্য হরিয়ানার মানেসারে মারুতি সুজুকির কার অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্টের নির্যাতিত শ্রমিকরা পুনর্বহালের জন্য লড়াই করছে।

ফোর্ড শ্রমিকদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা:

চেন্নাইয়ের এখন বন্ধ হয়ে যাওয়া ফোর্ড অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্টের শ্রমিকরা এক মাস ধরে, ব্যাপক জঙ্গি সংগ্রাম চালিয়েছিল কারখানা বন্ধ করার বিরোধিতা করার জন্য এবং ইউনিয়নের সমঝোতার দ্বারা বিক্রির চুক্তির বিরোধিতায় যারা কোম্পানির চাকরি ছাঁটাইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। এর মধ্যে রয়েছে সিএফইইউ-এর প্রধানদের তোয়াক্কা না করে অল্পবয়সী শ্রমিকদের দ্বারা শুরু করা পাঁচ সপ্তাহের ধর্মঘট, অগস্টে প্ল্যান্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার পরে ইউনিয়নের দ্বারা অনুমোদিত 'চূড়ান্ত নিষ্পত্তি (বিচ্ছেদ) প্যাকেজ' গ্রহণ করতে অনেক শ্রমিকের অস্বীকৃতির ভিত্তিতে।

গত মাসে, ২,৬০০ স্থায়ী ফোর্ড শ্রমিকদের মধ্যে কয়েক শত শ্রমিক তারা ' চূড়ান্ত বন্দোবস্ত' গ্রহণ করতে অস্বীকার করে, তাঁরা জোর দিয়েছিল যে তাদের চাকরি পুনরুদ্ধার করা উচিত। ফোর্ড ম্যানেজমেন্টের বারংবার হুমকি যে যদি তারা 'সমঝোতা' স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হয় তবে তারা শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় শ্রম আইনের অধীনে গ্যারান্টিযুক্ত সামান্য কিছু পাবে, তা সত্ত্বেও তারা তা করেছিল।

তাদের চাকরি পুনরুদ্ধারের দাবির চাপ দিতে শ্রমিকরা একাধিক বিক্ষোভ করেছে। যাইহোক, এমন পরিস্থিতিতে যেখানে স্টালিনবাদী-নেতৃত্বাধীন CITU সহ শ্রম ফেডারেশনগুলি তাদের বিচ্ছিন্ন করেছিল, বেশিরভাগই এখন সেলআউট ফোর্ড-সিএফইইউ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

পুলিশ চেন্নাই র্ফোড শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করছে, ৩০ শে সেপ্টেম্বর। [Photo by RP, a Ford worker]

ফোর্ডের কিছু শ্রমিক ভুলবশত সমর্থনের জন্য মাওবাদী-ভিত্তিক LTUC-এর দিকে ফিরে গিয়েছিল, কিন্তু, পুরানো, আরও প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন ফেডারেশনগুলির মতো, এটিও শ্রীপেরামবাদুর-ওরাগাদাম শিল্প তালুকের কয়েক হাজার শ্রমিকের সমর্থন জোগাড় করার জন্য একটি প্রচার শুরু করতে অস্বীকার করে, যার মধ্যে হাজার হাজার অটো যন্ত্রাংশ শ্রমিকরাও রয়েছে যারা ফোর্ড বন্ধের কারণে সরাসরি প্রভাবিত।

পরিবর্তে, LTUC একটি করুণ পরামর্শ নিয়ে এসেছিল যে শ্রমিকরা ডানপন্থী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে স্থায়ী চাকরির দাবিতে একটি পিটিশন দিক। এমনকি তাদের অস্তিত্ব স্বীকার করতে অস্বীকার করে স্ট্যালিন প্রকাশ্যে তাঁর অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছিলেন।

সবচেয়ে জঙ্গী ফোর্ডের কিছু শ্রমিক ওয়ার্ল্ড সোশ্যালিস্ট ওয়েব সাইটের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছে এবং সম্মত হয়েছে যে কর্পোরেট পন্থী ট্রেড ইউনিয়ন থেকে মুক্ত নতুন র‍্যাঙ্ক-এন্ড-ফাইল সংস্থাগুলির অবশ্যই শ্রমিকদের সংগ্রামের জন্য তৈরি করা উচিত, যার মধ্যে নিরাপদ, ভাল বেতনের চাকরির জন্য লড়াইও সংযুক্ত।

মারুতি সুজুকির শ্রমিকরা:

হরিয়ানার মানেসারে শত শত মারুতি সুজুকির অটো শ্রমিকরা যাদের দশ বছর আগে কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দ্বারা প্রতিশোধমূলকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল তারা তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য ব্যাপক আন্দোলন করছে। এই শিল্প তালুকে কাজ করা আরও হাজার হাজার শ্রমিক এদের সাথে যোগ দিয়েছে, তারা গুরুগ্রামের ছোটো-সচিবালয়ের দিকে মিছিল করে, যেখানে সরকারি জেলা প্রশাসনের অফিস রয়েছে।

এই আন্দোলনটি এই বছরের শুরুতে জুলাই মাসে শুরু হয়েছিল ১৮ই জুলাই, ২০১২-এর দশম বার্ষিকী উপলক্ষে যেখানে ম্যানেজমেন্ট এর -উস্কানিমূলক ঝগড়াতে শ্রমিকদের গুন্ডাদের দ্বারা পেটানো হয়েছিল এবং রহস্যজনকভাবে আগুন লাগে যার মধ্যে পড়ে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক অবনীশ দেবের ধোঁয়াতে নিঃশ্বাসের অসুবিধার কারণে মৃত্যু হয়েছিল।

মারুতি সুজুকি, ভারতের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা, তারপরে তাঁরা রাজ্য পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে বিশেষ সহায়তা নিয়েছিল, যারা কোম্পানির মিলিশিয়া হিসেবে কাজ করে শত শত শ্রমিককে আটক করে তাদের নির্যাতন করতে। পরবর্তীকালে, ৩১ জন শ্রমিককে বিভিন্ন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১৩ জন নিরপরাধ শ্রমিক ছিল যাদেরকে ২০১৭ সালে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক অবনীশ দেবের 'হত্যার' জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজীবন জেলে যাওয়া তেরো জন শ্রমিকের মধ্যে মারুতি সুজুকি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পুরো কার্যনির্বাহীরা ছিল, যে শ্রমিকরা একটি সরকার-স্বীকৃত, কোম্পানি পন্থী ইউনিয়নের বিরোধিতা করে সংগ্রাম গড়ে তুলেছিল।

১৮ই জুলাইয়ের ঘটনাকে ম্যানেজমেন্ট ব্যাবহার করেছে, জঙ্গি আন্দোলনের নিশানায় থাকা ৫৪৬ জন স্থায়ী এবং ১৮০০ জনেরও বেশি অস্থায়ী শ্রমিককে বরখাস্ত করে রাস্তা পরিষ্কার করতে।

শ্রমিকরা দাবি করছে, অন্তত ৪২৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে ফিরিয়ে নেওয়া হোক, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো অভিযোগ নেই।

একশ পঞ্চাশ জন শ্রমিক সম্প্রতি তাদের সংগ্রামকে প্রচার করতে দ্রুত সংগঠিত হয়ে দুই দিনের অনশন ধর্মঘট করেছে। ভুক্তভোগী শ্রমিকরাও ২০১৬ সাল থেকে আদালতের মাধ্যমে লড়াই করছে। একজন শ্রমিক যেমন দ্য হিন্দুকে বলেছেন: “বিষয়টি ছয় বছর ধরে শ্রম আদালতে ঝুলে আছে এবং যার শেষ দেখা যাচ্ছে না। এটি একটি খুব দীর্ঘ এবং ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। তাই, আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং পুনর্বহালের চাপ দেওয়ার জন্য আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

যাইহোক, মারুতি সুজুকির শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা যেমন প্রমাণ করেছে, বিদ্যমান ইউনিয়ন কাঠামোর মাধ্যমে কাজ করা শ্রমিকদের দাবি পূরণ করতে পারে না। এই বিশাল শিল্প তালুকের শ্রমিকদের র‌্যাঙ্ক-এন্ড-ফাইল অ্যাকশন কমিটি গঠন করে তাদের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে এবং তাদের সমস্ত দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত উত্পাদন বন্ধ রাখতে হবে।

ইয়ামাহা শ্রমিকরা কোম্পানি-আরোপিত দালাল ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে:

'ভারতের ডেট্রয়েট' নামে পরিচিত শ্রীপেরামবুদুর ওরাগাদাম-ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে অবস্থিত একটি কারখানার কয়েকশত ইয়ামাহা মোটরস গাড়ী নির্মানকারী শ্রমিকরা ১১ই অক্টোবর, ২০২২- থেকে ১০ দিনের ধর্মঘটে গিয়েছিল৷ তারা একটি দালাল ইউনিয়নকে তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য ম্যানেজমেন্টের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে৷ সুধন্থিরাম ইন্ডিয়া ইয়ামাহা মোটর থোজিলালার সঙ্গম (SIYMTS), যা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ভেলমুরুগানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিচালকদের দ্বারা তড়িঘড়ি করে গঠিত হয়েছিল।

শ্রমিকরা ইন্ডিয়া ইয়ামাহা মোটরস থোজিলালার সঙ্গম (আইওয়াইএমটিএস) এর স্বীকৃতি দাবি করছিল যা ২০১৮ সালে ৫৫ দিনের ব্যাপক ধর্মঘটের পরে গঠিত হয়েছিল। যদিও, ভেলমুরুগান, আইওয়াইএমটিএস গঠনের সময় এর নেতা ছিলেন, পরবর্তীকালে ২০১৯ সালে, তার নেতৃত্বে, ইউনিয়ন কোম্পানী পরিচালনাকারীদের সাথে জঘন্য এক তিন বছরের মজুরি চুক্তি স্বাক্ষর করে যা ২০২২ সালের মার্চ মাসে শেষ হয়ে যায়। শ্রমিকরা তখন থেকে চুক্তি ছাড়াই কাজ করছে। যদিও অস্থায়ী ও চুক্তি শ্রমিক সহ শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪,৫০০, শুধুমাত্র ১,০৯৫ স্থায়ী শ্রমিক ইউনিয়ন দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করে।

ভেলমুরুগান, ম্যানেজমেন্টের দ্বারা ঘুষ খেয়ে, তাড়াহুড়ো করে SIYMTS গঠনে সম্মত হন, যেটি আইনকে স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে কোম্পানির একমাত্র দরকষাকষির এজেন্ট হিসাবে 'নিবন্ধিত' হয়েছিল। এরপর ভেলমুরুগান আরেকটি মজুরি চুক্তির জন্য আলোচনা করেন, যা অধিকাংশ শ্রমিক প্রত্যাখ্যান করে। এই অগ্রগতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে, শ্রমিকদের একটি দল রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, পাশাপাশি IYMTS-কে স্ট্যালিনবাদী CITU ফেডারেশনের সাথে সংযুক্ত করার দাবিকে পুনরুজ্জীবিত করে।

সিটুর সম্পূর্ণ জঘন্য প্রকৃতি প্রকাশ পায় যখন প্রশাসন, ডেপুটি শ্রম কমিশনার সহ, সিআইটিইউকে ধর্মঘট শেষ করার জন্য একটি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়। CITU ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোন ইউনিয়ন, IYMTS বা SIYMTS-এর সংখ্যাগরিষ্ঠর সমর্থন রয়েছে তা নির্ধারণ করার জন্য একটি অস্পষ্ট লিখিত প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়।

রেনল্ট নিসান শ্রমিকরা ইউনিয়ন ফেডারেশন অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে:

আরেকটি দীর্ঘ উত্তপ্ত বিরোধ, ১২ই অক্টোবর, প্রায় ৩৫০ জন স্থায়ী শ্রমিক ইউনাইটেড লেবার ফেডারেশনের অফিসের বাইরে জড়ো হয়েছিল বেতন বৃদ্ধির দাবিতে, যারা বেসরকারীভাবে রেনল্ট-নিসান ইন্ডিয়া থোজিল্লার সঙ্গম (আরএনআইটিএস- রেনল্ট-নিসান ইন্ডিয়া ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন) এর সাথে যুক্ত, গত চার বছর ধরে তাঁরা চুক্তি ছাড়াই কাজ করছে। যে আইনজীবী ULF-এর প্রধান এবং RNITS-এর অফিসিয়াল অ্যাটর্নি তিনি ইউনিয়ন এবং ব্যবস্থাপনার মধ্যে সালিশের জন্য আদালতকে ব্যবহার করছেন। কয়েক বছরের নিরর্থক শুনানির ফলে শ্রমিকরা বর্ধিত মজুরিতে এক টাকাও লাভ করতে পারেনি বা তাদের অন্য কোনো দাবি পূরণ করতে পারেনি।

কিছু শ্রমিক ULF অফিসে তালা লাগিয়ে একটি নোটিশ সাঁটান যে বিগত তিন বছর ধরে, ULF কোম্পানি পরিচালনাকারীদের থেকে কোনো সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি করেনি। শ্রমিকরা বলেন, “এই ইউনিয়ন আমাদের কোনো কাজে আসে না। সুতরাং, আমরা শ্রমিকরা হতাশ এবং আমরা যেহেতু ইউনিয়নকে আমরা টাকা দিচ্ছি, আমরা এই ইউনিয়ন অফিসে তালা লাগিয়ে দেব।”

এই ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে, রেনল্ট-নিসান শ্রমিকদের একটি দল বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক ওয়েব সাইটের দিকে ঘোরে, যার সাথে তারা যোগাযোগ করেছে, সংগ্রামের একটি নতুন সংগঠন, একটি র‌্যাঙ্ক-এন্ড-ফাইল কমিটি গঠন করতে। তারা নিশ্চিত যে এটাই একমাত্র উপায় যার দ্বারা শ্রমিকরা নিজেদের রক্ষা করতে পারে এবং নিয়মিত পরিচালনাকারীদের আক্রমণের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারে। এই শ্রমিকরা শীঘ্রই রেনল্ট-নিসান র‌্যাঙ্ক এন্ড ফাইল কমিটি প্রতিষ্ঠা করার বিবৃতি জারি করবে এবং একটি প্রচার শুরু করার পরিকল্পনা করবে এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্প অঞ্চলের অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ভাই ও বোনদের সাথে সংযুক্ত করবে আন্তর্জাতিক শ্রমিকদের অ্যালায়েন্স অফ র‍্যাঙ্ক-এন্ড-ফাইল কমিটির (IWA-RFC) মাধ্যমে।

Loading