বাংলা
Perspective

বাইডেন প্রশাসন জামাল খাশোগির খুনি সৌদি যুবরাজকে রেহাই দিয়েছে

মঙ্গলবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে মার্কিন নাগরিক এবং সৌদি রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী জামাল খাশোগির হত্যার বিচার থেকে রক্ষা করে তাকে রেহাই দিয়েছে।

এই পদক্ষেপটি দেখায় যে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য বাইডেন প্রশাসনের যে দাবি - ইউক্রেন যুদ্ধে এবং বিশ্বজুড়ে তার হস্তক্ষেপের জন্য যে অনুমিত ন্যায্যতা –তা একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের অভ্যন্তরে একটি হিট স্কোয়াড দ্বারা খাশোগিকে হত্যা এবং টুকরো টুকরো করার বিষয়ে গত মে মাসে সৌদি আরব সফরের সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করলে বাইডেন অবমাননাকরভাবে বলেছিলেন, “কেন আপনারা এমন কিছু বিষয়ে কথা বলছেন না যা গুরুত্বপূর্ণ? আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরে খুশি।' এটি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের খাঁটি, অহংকারী কণ্ঠস্বর।

সৌদি রয়্যাল প্যালেস দ্বারা প্রকাশিত এই ছবিতে, ডান দিকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, সৌদি আরবের জেদ্দায় আল-সালাম প্রাসাদে পৌঁছানোর পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে মুষ্টিবদ্ধভাবে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। শুক্রবার, 15 জুলাই, 2022, [AP Photo/Bandar Aljaloud/Saudi Royal Palace via AP]

স্টেট ডিপার্টমেন্ট খাশোগির বাগদত্তা হ্যাটিস চেঙ্গিজের এবং খাশোগি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি মানবাধিকার গোষ্ঠীর আনা দেওয়ানী মামলার শুনানিকারী ফেডারেল বিচারকের একটি অফিসিয়াল প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিল, যাতে বিন সালমানকে হত্যার জন্য দায়বদ্ধ করা যায়। মামলায় হস্তক্ষেপ করার জন্য মার্কিন বিচার বিভাগ নির্দেশ জারি করেছে যে বিন সালমানের সার্বভৌম রেহাই দেওয়া হয়েছে এটি বিচারককে জানিয়ে দিতে, 'যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে এবং সমস্ত প্রশাসনের তরফ থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের, সরকার প্রধান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তাঁরা অফিসে থাকা অবস্থায়.'

এই পদক্ষেপটি সৌদি শাসনের সাথে সমন্বিত বলে মনে হয়েছিল, যেহেতু সেপ্টেম্বরে বিন সালমানকে তার পিতা বাদশাহ প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন, যিনি সৌদি প্রথা অনুসারে, উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার পুত্রের সাথে এই উপাধিটি বহন করেছিলেন। এই নিয়োগের অর্থ হল বিন সালমান এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনি দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য যোগ্য। সম্ভাব্য আইনি সমস্যা এড়াতে ২০১৮ সালে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিন সালমান ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেননি।

২০২০ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় বাইডেন দাবি করেছিলেন যে তিনি খাশোগি হত্যার কারণে সৌদি আরবকে বিশ্বে 'জাতিচুত্য' করবেন। একবার অফিসে, তিনি সিআইএ-এর দ্বারা একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছিলেন-যাদের খুন এবং তা ঢাকা দেওয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে-যে বিন সালমান খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রধানের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছিল।

ফ্রেড রায়ান, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশক, যেখানে খাশোগি মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশেষ করে সৌদি রাজতন্ত্রকে কেন্দ্র করে একটি নিয়মিত অপ-এড কলাম লিখতেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিন্দা করে এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমেরিকার সবচেয়ে লালিত শাসনকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের একজনকে হত্যার লাইসেন্স দিচ্ছেন।”

সৌদি আরবে রক্তক্ষয়ী অত্যাচারের রেকর্ড খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বাইরেও প্রসারিত। রাজতান্ত্রিক শাসন প্রতি বছর তার নিজের কয়েক ডজন প্রজাকে হত্যা করে, প্রধানত প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ এবং ফাঁসির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশটির শিয়া সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার সমর্থকদের, যারা প্রধানত তেল সমৃদ্ধ পূর্ব প্রদেশে বাস করে। সর্বশেষ গণহত্যায়, গত মার্চে, বিন সালমানের নির্দেশে ৮১ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।

আরব উপদ্বীপে এবং ইরানের বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগর জুড়ে তার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ভূমিকাকে শক্তিশালী করার জন্য বিশ্ববাজারে সৌদি আরবের তেল সরবরাহ এবং এর লাভজনক অস্ত্র ক্রয়, প্রধানত আমেরিকান নির্মাতাদের কাছ থেকে এর কোনটিই বিচার্য নয়। বাইডেন মে মাসে রিয়াদ ভ্রমণ করেছিলেন তার প্রচারে বিন সালমানের সমন্ধে যা বলেছিলেন তা সংশোধন করার জন্য এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে রাশিয়ান সরবরাহ বাতিল করার জন্য উত্পাদন বাড়াতে ডি ফ্যাক্টো সৌদি শাসকের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। পরিবর্তে, বিন সালমান সম্প্রতি সৌদি উৎপাদন হ্রাস করার নির্দেশ দেন, স্পষ্টতই গত সপ্তাহে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঘোষণা সহ আরও মার্কিন ছাড় পাওয়া জোরদার করতে।

বিন সালমানের সাথে বাইডেনের সম্পর্ক একটি বিস্তৃত নকশার অংশ, যেখানে ওয়াশিংটন তার বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বজায় রাখার জন্য বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচারী এবং খুনিদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। দুই সপ্তাহ আগে বাইডেন জাতিসংঘ-স্পনসর্ড COP27 জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরে যান। সেখানে তাকে দেশটির সামরিক স্বৈরশাসক, রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি অভ্যত্তর্না জানান, ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে হাজার হাজার মিশরীয় শ্রমিক এবং যুবকের রক্তে রাঙানো সেই হাতে করমর্দন করেন যা একটি উদীয়মান বিপ্লবী আন্দোলনকে দমন করেছিল।

বাইডেন গাজায় এল-সিসির ভূমিকার প্রশংসা করেন, যেখানে সামরিক সরকার মিশরের সাথে ছিটমহলের সীমান্ত পুলিশিং দ্বারা কার্যত বন্ধ করে প্রায় দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি আধিপত্যকে সমর্থন করেছে। তিনি 'আমাদের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব' রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই আশা প্রকাশ করে যে 'আমরা এমনকি বলতে পারি যে আমরা সব দিক থেকে কাছাকাছি এবং শক্তিশালী।'

মিশরের শার্ম আল-শেখ-এ COP27 জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে একটি মিটিং চলাকালীন মিশরীয় স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি হাসতে হাসতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর সাথে কথা বলছেন৷ শুক্রবার, ১১ই নভেম্বর, ২০২২, [AP Photo/Alex Brandon]

এই সপ্তাহে, বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, কমলা হ্যারিস, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সাথে সাক্ষাত করছেন, যিনি সেই দেশের একজন স্বৈরাচারী শাসক হিসাবে তার পিতার ভূমিকাকে পুনরুদ্ধার করতে চান। থাইল্যান্ডে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর হ্যারিস রবিবার ম্যানিলা যান।

ব্যাংককে, তিনি থাই সামরিক শাসক প্রায়ুত চান-ও-চা-এর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ বাক্যালাপ করেন, যিনি রাজতন্ত্র, বড় আর্থিক স্বার্থ এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের পক্ষে শ্রমিক এবং ছোট কৃষকদের দমন করেন। বৈঠকের অফিসিয়াল বিবৃতি অনুসারে, দুই নেতা 'আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন ... এবং একটি খোলা ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রচার করার ফলে আমাদের জোট আমাদের জনগণের জন্য যে সুবিধাগুলি প্রদান করে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।' এটি থাইল্যান্ডের জন্য কূটনৈতিক পরিভাষা যা চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের সাথে সারিবদ্ধ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হ্যারিস 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে স্থায়ী অংশীদারিত্বের বিষয়টি পুনঃনিশ্চিত করেছেন, যা অভিন্ন মূল্যবোধে নিহিত, এবং দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক সমস্যাগুলির একটি পরিসরে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।' থাইল্যান্ডের সামরিক শাসকরা পার্লামেন্ট ছত্রভঙ্গ করেছে, নির্বাচনে কারচুপি করেছে, বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে হিংসভাবে দমন করেছে। 'সাধারণ মান' দাবি করার জন্য একটি অশুভ বলয় রয়েছে।

ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান উভয়ই সিনেটর স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতির সমর্থনে কথা বলেছে, উল্লেখ করেছে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ অগ্রাধিকারী বিষয়। ভার্জিনিয়ার ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেছেন, “আমাদের যথেষ্ট বাস্তববাদী হতে হবে এটা বোঝার জন্য যে সৌদি আরব ইরানের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এটি বিশ্বের একটি অত্যন্ত অগোছালো অংশের নেতা।'

রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন এমনকি আরো স্পষ্টবাদী ছিলেন. 'ফক্স নিউজ সানডে'-তে একটি সাক্ষাত্কারের সময় এই সমস্যাটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, 'দেখুন, যদি আমাদের মিত্র এবং অংশীদার না থাকে যারা সবসময় আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা, আমাদের সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংবেদনশীলতা ভাগ করে, তবে আমাদের কোন মিত্র বা অংশীদার থাকত না। সৌদি আরব ৮০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। উভয় দলের রাষ্ট্রপতিরাই তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।”

তিনি অব্যাহত রেখেছিলেন, “বিশ্বব্যাপী সরকারগুলির মধ্যে যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল তারা গণতান্ত্রিক না অগণতান্ত্রিক তার থেকেও বেশী তারা আমেরিকানপন্থী না অ্যান্টি-আমেরিকান। এবং সহজ বাস্তবতা হল, সৌদি আরব ৮০ বছর আগে থেকে আমেরিকার অংশীদার।

বাইডেন প্রশাসনের দ্বারা খাশোগির খুনিকে আলিঙ্গন করার আরেকটি বিষয় রয়েছে, যেটি সম্ভবত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে সৌদি সরকারের সুনির্দিষ্ট ভূমিকার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে যেমণ বলা হয়েছে, 'প্রশাসন জুড়ে, সরকার এর প্রধানদের অফিসে থাকাকালীন তাদের রেহাই স্বীকার করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অবিচ্ছিন্ন অনুশীলন রয়েছে - এবং আমরা আশা করি অন্যান্য সরকারগুলিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একই কাজ করবে।'

স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন আইনজীবী ব্রায়ান ফিনুকেন ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন যে প্রতিটি মার্কিন প্রশাসন আমেরিকান কর্মকর্তাদের যুদ্ধাপরাধ এবং অন্যান্য অভিযোগের জন্য বিদেশী আদালতে বিচার করা নিয়ে উদ্বিগ্ন। 'পারস্পরিক উদ্বেগ এই নিয়মের মূলে রয়েছে,' তিনি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন।

যখন খুন এবং অন্যান্য বর্বর কাজের কথা আসে, বিন সালমান, এল-সিসি এবং মার্কোস জুনিয়র একজন আমেরিকান রাষ্ট্রপতির কাছে মোমবাতি ধরতে পারেন না। আমেরিকান সামরিক আগ্রাসন দ্বারা, 'টার্গেটেড কিলিং' এবং অর্থনৈতিক অবরোধ (ইরাক, ইরান, উত্তর কোরিয়া) এর শিকারের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। হিটলারের জার্মানির পর থেকে আর কোনো সরকার এত মানুষ হত্যা করেনি। এইভাবে প্রতিটি আমেরিকান রাষ্ট্রপতি আইনি পরিণতির ভয় পান।

এই কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান উভয় রাষ্ট্রপতির অধীনেই, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যোগদান করতে অস্বীকার করেছে, এবং কংগ্রেস এমনকি নেদারল্যান্ডস এর হেগের ট্রাইব্যুনালের সামনে আনা যে কোনও আমেরিকানকে উদ্ধারের জন্য মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের অনুমোদন দেওয়ার আইন পাস করেছে।

সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নেতা হিসাবে, বাইডেন অ্যান্ড কোং দায়মুক্তির সাথে জাতিসংঘ এবং আইসিসির দাঁতহীন ব্যাবস্থাপনাকে অস্বীকার করতে পারে, পাশাপাশি বিন সালমানের মতো তাদের মিত্রদের রক্তাক্ত অপরাধকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারে। তাদের পতন হবে বুর্জোয়া কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নয়, আমেরিকা ও বিশ্ব শ্রমিক শ্রেণীর সংঘবদ্ধতার মাধ্যমে, সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে।

Loading