বাংলা

জার্মান ইউনিয়নগুলি ম্যাক্রণে’র পেনশন কাটছাঁটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সম্পর্কে নীরব কেন?

তিন মাস ধরে, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, লক্ষ লক্ষ ফরাসি জনগণ রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রণের পেনশন কাটছাঁটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে চলেছে, যেই কাটছাঁটকে জনসংখ্যার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বিরোধিতা করেছে। ১৯৬৮ সালের মে/জুন মাসের পর এটিই ফ্রান্সের বৃহত্তম শ্রেণী সংগ্রাম, যখন একটি সাধারণ ধর্মঘট দেশটিকে কয়েক সপ্তাহের জন্য অচল করে দিয়েছিল। ম্যাক্রণ সংসদীয় ভোট ছাড়াই আইনটি ঠেলে দেওয়ার পরেও এবং সাংবিধানিক কাউন্সিল – যা হাতে বাছাই করে তুলে আনা প্রাক্তন রাজনীতিবিদদের প্যানেল দ্বারা- এটি অনুমোদন করার পরেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

পুরানো পরিচিতজন: ওলাফ স্কোলজ (তৎকালীন জার্মান শ্রমমন্ত্রী) এবং জর্গ হফম্যান (তৎকালীন আইজি মেটাল ব্যাডেন-ওয়ার্টেমবার্গের প্রথম প্রতিনিধি) জুলাই 2009 সালে একটি ইউনিয়ন সম্মেলনে [Photo by IG Metall Baden-Württemberg]

ফরাসি শ্রমিকদের এই শক্তিশালী আন্দোলনে জার্মান ইউনিয়নগুলি আতঙ্কিত৷ তাদের বধির নীরবতা ব্যাখ্যা করার অন্য কোন উপায় নেই। যদিও জার্মানি এবং ফ্রান্স একে অপরের প্রতিবেশী এবং উভয়ে ইউরোজোনের প্রায় অর্ধেক অর্থনৈতিক উৎপাদনের ভাগীদার হওয়া সত্বেও, জার্মান ইউনিয়নগুলি বিষয়টিকে এমণভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে যেমন শয়তান পবিত্র জল এড়িয়ে যায়।

জার্মান কনফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়ন (ডিজিবি) দ্বারা মে দিবসের আবেদন, 'অবিচ্ছিন্ন সংহতি' নীতির অধীনে প্রতিবেশী দেশের ঘটনাগুলি সম্পর্কে একটি কথাও উচ্চারণ করে না। ডিজিবি'র কেন্দ্রীয় মে দিবসের সমাবেশ, যেখানে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি) চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বক্তৃতা করবেন এবং অনুষ্ঠানটি ফরাসি সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও কম দূরে কোলনে হওয়া সত্বেও।

সম্পূর্ণ অনুসন্ধান ছাড়াই ট্রেড ইউনিয়নের প্রকাশনা এবং ওয়েবসাইটগুলিতে ফ্রান্সের ঘটনাগুলির কোনও উল্লেখ পাওয়া যায় না এবং যেগুলি পাওয়া যায় তাতে সংহতির যে কোনও ঘোষণার অভাব রয়েছে।

মেটাল এর জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি বা মার্চ/এপ্রিলের সংখ্যায় ফ্রান্সে বিদ্রোহের কোনো রিপোর্ট নেই- এটি জার্মানির সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন আইজি মেটালের ম্যাগাজিন-যার কুড়ি লক্ষ কপি ছাপা হয়েছে এবং এটি সমস্ত সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়েছে। একমাত্র আন্তর্জাতিক বিষয় যা প্রকাশ হয়েছে তা হল ইউক্রেন যুদ্ধ, যেখানে ইউনিয়ন - 'শান্তি নীতি' সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যাংশ লেখা সত্ত্বেও - ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সহ ন্যাটো এবং জার্মান সরকার দ্বারা অনুসরণ করা যুদ্ধের পথের প্রতি তার সমর্থনকে স্পষ্ট করেছে।

আপনি যদি এটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান তাহলে, এটি 'বিশ্বের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন' এর নিজস্ব বিজ্ঞাপন অনুসারে, 'আন্তর্জাতিক' শিরোনামের অধীনে আপনি প্রধানত ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বেলারুশের ট্রেড ইউনিয়নবাদীদের নিপীড়ন সম্পর্কে নিবন্ধগুলি পাবেন। ১১ই মার্চ, আইজি মেটাল, নিয়োগকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশন Gesamtmetall-এর সাথে মিলিতভাবে, 'রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বারা শুরু করা আগ্রাসন যুদ্ধের শিকার হওয়া সবাইকে স্মরণ করার জন্য কারখানাগুলিতে এক মিনিটের নীরবতা পালনের আহ্বান জানান।'

আইজি মেটাল বস জর্গ হফম্যানের নেতৃত্বে থাকা প্রায় ৫ কোটি সদস্য সহ ধাতু, রাসায়নিক, খনি এবং টেক্সটাইল শিল্পের প্রায় ২০০টি ইউনিয়নের একটি ফেডারেশন, এর আন্তর্জাতিক এবং ইউরোপীয় ওয়েবসাইট, ইন্ডাস্ট্রিঅল এর পরিস্থিতিও আলাদা নয়। যদিও সমস্ত ফরাসি ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনগুলি IndustriALL-এর সদস্য, ফ্রান্সের গণ-বিক্ষোভ এখানেও পিছনে রয়েছে।

১৯শে জানুয়ারী শেষ প্রকাশ এর তারিখ থেকে, যেদিন ফ্রান্সে বিক্ষোভের শুরু। ২০ লাইনের ও কম লেখায়, IndustriALL সমস্ত সরকারকে 'তাদের শ্রমিকদের সমর্থন এবং ন্যায্য ও শালীন কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য' আবেদন করেছে এবং 'রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রণকে অবিলম্বে [পেনশন] সংস্কার প্রত্যাহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে৷'

এটাই!

সার্ভিস ইউনিয়ন ভার্ডি, যেটি সম্প্রতি ডয়েচে পোস্টে সম্মিলিত দর কষাকষির বিরোধ এর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং এখন ২৫ লক্ষ ফেডারেল এবং স্থানীয় সরকারী শ্রমিকদের জন্য একই প্রস্তুতি নিচ্ছে, তারাও নীরবতা অবলম্বন করছে৷

মেটাল এর বিপরীতে, ভার্ডির সদস্যদের সংবাদপত্র পাবলিকের মার্চ সংস্করণ পেনশন বিক্ষোভের উপর একটি সাংবাদিক প্রতিবেদন ছেপেছে, যা সত্যগুলিকে কিছুটা বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করে। উদাহরণস্বরূপ, এটি মিডিয়া দ্বারা ছড়িয়ে পড়া কল্পকাহিনীকে উড়িয়ে দেয় যে সংস্কারের পরে, সমস্ত ফরাসি মানুষ ৬২ এর পরিবর্তে ৬৪ বছর বয়সে অবসর নিতে সক্ষম হবে।

এটি বলে: 'তবে, ৬৪ বছরে সম্পূর্ণ পেনশন পাওয়ার অধিকার ফ্রান্সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যমান নেই। যোগ্যতা অর্জনের জন্য, শ্রমিকদের অবশ্যই ৪৩ বছর তাঁদের শ্রম প্রদান করতে হবে। কাটছাট ছাড়াই একটি সম্পূর্ণ পেনশন, প্রদত্ত সময়ের দৈর্ঘ্য নির্বিশেষে, শুধুমাত্র ফ্রান্সে ৬৭ বছরে পাওয়া যায়।'

কিন্তু ভার্ডি কর্মকর্তারা বিক্ষোভের সাথে একাত্মতা দেখাতে চান না-এমনকি বাধ্যতামূলক শর্তেও নয়। তারা খুব বেশি ভয় পায় যে ফরাসি শ্রমিকদের লড়াই করার ইচ্ছা তাদের নিজস্ব সদস্যদের সংক্রামিত করতে পারে, যারা মজুরি কমানোর কারণে বিরক্ত, যার সাথে ভার্দি কর্মকর্তারা সরকার ও প্রশাসনে থাকা তাদের বন্ধুদের সাথে নিয়মিত সম্মত হন।

জার্মান ইউনিয়নগুলির ভয় সব থেকে বেশি কারণ এক দশকেরও বেশি আগে তারা ম্যাক্রণের মত অনুরূপ পেনশন কাট মেনে নিয়েছিল যেগুলি এখন স্বৈরাচারী উপায়ে চাপিয়ে দিচ্ছে, কোন প্রতিরোধের প্রস্তাব না দিয়ে।

২০০৬ সালে, অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের অধীনে SPD এবং খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটস (CDU) এর প্রথম মহাজোট সিদ্ধান্ত নেয়, ভাইস চ্যান্সেলর এবং শ্রমমন্ত্রী ফ্রাঞ্জ মুন্টেফেরিং-এর উদ্যোগে, ২০৩১ সালের মধ্যে অবসরের বয়স ধীরে ধীরে ৬৫ থেকে ৬৭-টে উন্নীত করা হবে। এই SPD রাজনীতিবিদ এবং ৪০ বছর ধরে আইজি মেটালের সদস্য এটি আরোপ করার জন্য ইউনিয়নগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। যদিও ইউনিয়নগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করেছিল কারণ তারা তাদের সদস্যদের দ্বারা বিদ্রোহের আশঙ্কা করেছিল, তবে তারা এর বিরুদ্ধে যে কোনও প্রতিরোধকে নাশকতা করার জন্য তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল।

যদি জার্মান ইউনিয়নগুলি এখন ফ্রান্সে অভ্যুত্থান সম্পর্কে নীরব থাকে, তবে অবসরের বয়স এবং মজুরি শতাংশের চেয়ে আরও বেশি ঝুঁকি রয়েছে। WSWS যেমন উল্লেখ করেছে, ইউরোপে একটি বিপ্লবী সংকট তৈরি হচ্ছে।

'ইউরোপে একটি গণ ধর্মঘট আন্দোলন শুরু হয়েছে, যা মহাদেশের প্রতিটি কোণে লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে আকৃষ্ট করেছে,' আমরা Sozialistische Gleichheitspartei (Socialist Equality Party) এবং এর ফরাসি, ব্রিটিশ এবং তুর্কির সহমর্মী সংগঠনগুলি একটি যৌথ বিবৃতিতে লিখেছি৷

যা উদ্ঘাটিত হচ্ছে তা জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংগ্রামের একটি ধারাবাহিকতা নয় যা এক বা অন্য পুঁজিবাদী সরকারের সাথে বিচ্ছিন্ন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। বরং, এটি একটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংগ্রাম, কারণ শ্রমিকরা প্রতিটি দেশে একই ধরনের দাবি উত্থাপন করে এবং পুলিশি দমন-পীড়ন এবং আইনি হুমকির সম্মুখীন হয় সরকারগুলির দ্বারা যারা অসম্মানিত এবং ব্যাপকভাবে ঘৃণ্য।

যে বর্বরতার সাথে ম্যাক্রণ পেনশন কাটছাঁটের জিগির তুলেছেন এবং প্রাথমিক গণতান্ত্রিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তা এই মূল্যায়নকে নিশ্চিত করে। কয়েক দশক ধরে শ্রমিকদের আয় এবং সামাজিক বিধানে কাটছাঁট করার পর এবং অভিজাতদের শত শত কোটি দিয়ে সমৃদ্ধ করার পর, সামাজিক বৈরিতা এমন এক তীক্ষ্ণতার পর্যায়ে পৌঁছেছে যেটিকে আর ভোঁতা করা যাবে না। ইউক্রেনে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের পদ্ধতিগত বৃদ্ধি, যুদ্ধ এবং অস্ত্রের জন্য শত শত কোটি ব্যয় এবং বিপর্যস্ত আর্থিক বাজার সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এটি শ্রমিক ও যুবকদের বৃহত্তর স্তরকে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামে চালিত করছে, যখন পুঁজিবাদকে সমস্ত দল রক্ষা করছে- ছদ্ম 'বাম', থেকে সোশ্যাল ডেমোক্রাট এবং রক্ষণশীল, তারা আরো ডান-দিক সরে যাচ্ছে।

ইউনিয়নগুলো শ্রমিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে এই ঐক্যফ্রন্টের অংশ। তারা কর্পোরেটপন্থী শাসনযন্ত্র, কোম্পানি এবং রাষ্ট্রের সাথে গভীরভাবে একত্রিত, যুদ্ধপন্থী নীতি সমর্থন করে, শ্রেণী সংগ্রামকে সংযত এবং দমন করে এবং এর জন্য ভাল অর্থ পায়। এটি কেবল জার্মানিতেই নয়, ফ্রান্সেও সত্য, যেখানে ইউনিয়নগুলি আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রণের পতন রোধ করতে তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছে৷

ফ্রান্সে পেনশন কাটছাট নিয়ে বিরোধ, যা কাকতলীয়ভাবে ব্রিটেন, গ্রীস, পর্তুগাল এবং অন্যান্য অনেক দেশের বড় ধর্মঘট আন্দোলনের সাথে মিলে যায়, এটি শ্রেণী সংগ্রামের আন্তর্জাতিক তরঙ্গের সূচনা।

ফ্রান্সের ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপ জুড়ে বিপ্লবী সংগ্রামের ইঙ্গিত দেওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। এমনকি তরুণ র্মাক্স লিখেছিলেন যে 'জার্মান পুনরুত্থানের দিন' (অর্থ বিপ্লব) 'গলের মোরগের ডাক দ্বারা' ঘোষণা করা হবে। ১৭৮৯ সালের প্রথম দিকে, ফরাসি বিপ্লব সমগ্র ইউরোপ জুড়ে কম্পনের অনুভুতি জাগায়। এটি ১৮৩০ এবং ১৮৪৮ সালের বিপ্লব এবং ১৮৭১ সালের প্যারিস কমিউন এবং বিংশ শতাব্দীতে ১৯৩৬ এবং ১৯৬৮ সালের সাধারণ ধর্মঘটের দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছিল।

শ্রমিকশ্রেণি এবং যুবকরা কেবলমাত্র এই সংগ্রামে জয়লাভ করতে পারে, তাদের সামাজিক লাভ রক্ষা করতে পারে এবং যুদ্ধ ও স্বৈরাচারের বিপদকে পরাজিত করতে পারে সমস্ত পুঁজিবাদী দল ও ট্রেড ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, জাতীয় বাধা অতিক্রম করে, ইউরোপ ও বিশ্ব জুড়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, একটি সমাজতান্ত্রিক কর্মসূচির জন্য সংগ্রাম এবং চতুর্থ আন্তর্জাতিকের আন্তর্জাতিক কমিটি (ICFI) গঠন করে। অতি ধনীদের সম্পদ, ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেশনগুলিকে দখল করতে হবে এবং ধনীদের লাভের স্বার্থের পরিবর্তে সমাজের প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন সংগঠিত করতে হবে।

ICFI সাধারণ স্তরের (র‌্যাঙ্ক-এন্ড-ফাইল) কমিটিগুলির (IWA-RFC) আন্তর্জাতিক শ্রমিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। ICFI-এর মে দিবসের আবেদনে বলা হয়েছে, এটি 'একটি বিশ্বব্যাপী কৌশল এবং কর্পোরেট ক্ষমতা ও পুঁজিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে শ্রেণী সংগ্রামের কৌশলগত সমন্বয়ের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করছে৷ এর উদ্দেশ্য প্রতিক্রিয়াশীল আমলাতন্ত্রের উপর চাপ প্রয়োগ বা সংস্কার করা নয়, বরং সমস্ত সিদ্ধান্ত-গ্রহণ এবং ক্ষমতা সাধারণ স্তরের (র‍্যাঙ্ক এন্ড ফাইল)কমিটির হাতে স্থানান্তর করা।

Loading