বাংলা

পাকিস্তানের বিরোধী দলনেতা ইমরান খানকে সামরিক বাহিনী ধরে নিয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হিংস্রভাবে গ্রেপ্তার ও আটকের বিরুদ্ধে বুধবার দ্বিতীয় দিনের গণবিক্ষোভের মধ্যে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সারা দেশের শহরগুলিতে সেনা মোতায়েন করেছে।

খানকে আর্মি রেঞ্জার্স দ্বারা আটক করা হয় যারা দাঙ্গা মোকাবেলার পোষাকে সজ্জিত ছিল, যখন তিনি মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেন, তারপর একটি পৃথক দুর্নীতির মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা করা হয়।

খানের আটক অবিলম্বে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বা মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সমর্থকদের নেতৃত্বে সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।

মঙ্গলবার কোয়েটায় একজন এবং বুধবার পেশোয়ারে অন্তত চারজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা তাদের নেতার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময়, পাকিস্তানের পেশোয়ারে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে। বুধবার, 10 মে, 2023, [AP Photo/Muhammad Sajjad]

রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ-পাঞ্জাব, খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানের তিনটিতেই সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি সরকার সারা দেশে মোবাইল ডেটা পরিষেবা বন্ধ করেছে। এটি কার্যকরভাবে জনসংখ্যার বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠকে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করার সুযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করে, যাতে প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য চাপা দেওয়া যায়।

ইসলামাবাদ এবং পাঞ্জাব উভয় জায়গাতেই— যা পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, শেহবাজ শরিফ এবং তার মুসলিম লীগ (নওয়াজ)-এর ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক ঘাঁটি—সরকার ফৌজদারি আইনের “ধারা ১৪৪” জারি করেছে, যার ফলে চারজনের বেশি কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে হিংস্রভাবে প্রতিবাদ দমন করার।

অন্তত ১,৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুধুমাত্র পাঞ্জাবে, এবং আরও কয়েকশ জনকে অন্যত্র।

পুলিশ-সামরিক দমন-পীড়ন এখনও পর্যন্ত বিক্ষোভ দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা শুধুমাত্র বর্তমান জোট সরকারকে লক্ষ্য করেই হয়নি, বরং পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড পাকিস্তানি সামরিক কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনগণের ক্ষোভও তুলে ধরেছে।

বুধবার পাকিস্থানি সময় দুপুর ২টার দিকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ওসামা বিন জাভেদ জানিয়েছেন, 'বিক্ষোভ শুধু ফেডারেল রাজধানীতেই নয়, দেশের অন্যান্য অংশেও বেড়েছে। “আমরা রিপোর্ট শুনছি যে অন্তত সাতজন পিটিআই সমর্থক নিহত হয়েছে। আমরা বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালানো এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা জবাব দেওয়ার ছবি দেখছি।”

বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী শরীফ অগ্নিসংযোগ ও হিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দেশের কঠোর, গণতন্ত্রবিরোধী 'সন্ত্রাস বিরোধী' আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও গতকাল, খান, যিনি মাত্র ১৩ মাস আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, পুলিশ সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন যা অস্থায়ীভাবে একটি আদালতে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আদালত এ সব উড়িয়ে দিয়ে তাকে আট দিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে।

২০২২ সালের এপ্রিল-জুলাই মাসে শ্রমিক এবং গ্রামীণ জনসাধারণের একটি গণআন্দোলন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাক্ষকে ক্ষমতা থেকে তাড়ানোর পরে, পাকিস্তানি শাসক শ্রেণী ভয় পেয়েছে যে এই বিক্ষোভগুলি শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে আরও বিস্তৃত আন্দোলনের সূত্রপাত করতে পারে।

মধ্যবিত্তের বিস্তৃত অংশ সহ জনগণের পক্ষে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ অসহনীয় হয়ে উঠছে। বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি এখন ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে এবং আইএমএফ কঠোরভাবে ব্যয় কঠোরতা ও বেসরকারিকরণ ব্যবস্থার দাবি করছে। পাকিস্তান যখন রাষ্ট্রীয় দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে, নির্মাতারা উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে কারণ তারা আমদানিকৃত যন্ত্রাংশ এবং কাঁচামালের অর্থ প্রদানের জন্য ডলার পাচ্ছে না। এটি আরও ব্যাপক বেকারত্বকে চালিত করেছে।

IMF কে রাজি করানোর জন্য একটি বেলআউট প্যাকেজের $১.১ বিলিয়ন কিস্তি যা প্রথমে খান দ্বারা আলোচনা করা হয়েছিল, বর্তমান পাকিস্তান সরকার ভর্তুকি আরও কমিয়ে দিচ্ছে। তবে কয়েক মাস ধরে ঝগড়া সত্ত্বেও আইএমএফ এখনও কোন তহবিল দেয়নি। আইএমএফের আধিপত্যকারী ওয়াশিংটন, অর্থ যোগানের পূর্বশর্ত হিসাবে, ইউক্রেনে গোপন অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো সহ ইসলামাবাদের কাছ থেকে ভূ-রাজনৈতিক ছাড় দাবি করছে।

খান একজন ডানপন্থী ইসলামি জনপ্রিয় নেতা, যার রাজনৈতিক উত্থান, যার মধ্যে তার ২০১৮ সালের নির্বাচনও আছে, সেনাবাহিনীর সমর্থন দ্বারা সহায়তা করা হয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর, তিনি এবং তার পিটিআই দ্রুত 'ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র'-এর নামে তাদের লোক দেখানো প্রতিশ্রুতি ত্যাগ করেছিলেন এবং যুক্তিযুক্তভাবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর IMF কাঠামোগত সমন্বয় কর্মসূচি চাপিয়ে দিয়েছিলেন।

যাইহোক, ২০২২ সালের প্রথম মাসগুলিতে IMF-এর দাবিকৃত জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি চাপিয়ে দেওয়ার কারণে ব্যাপক জনগণের ক্ষোভের মুখে খান পিছু হটলে সামরিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এবং শাসকশ্রেণীর বেশিরভাগই খানের উপর চটে যায়। খান ইসলামাবাদের সাথে ওয়াশিংটনের ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত সম্পর্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছিলেন ন্যাটো-প্ররোচিত ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে মস্কোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক খোঁজার ইচ্ছার ইঙ্গিত দিয়ে ।

যেহেতু তাকে ১৩ মাস আগে সামরিক বাহিনী দ্বারা সংগঠিত এবং ওয়াশিংটন দ্বারা পরিচালিত একটি সংসদীয় শাসন-পরিবর্তন অভিযানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল, খান নিজেকে ওয়াশিংটনের গুন্ডামি এবং সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্রের প্রতিপক্ষ হিসাবে নিজেকে IMF এর ব্যয় কঠোরতার বিরোধী হিসাবে তুলে ধরেন।

পিটিআই-এর জনসমর্থনের প্রধান ভিত্তি শহুরে মধ্যবিত্ত। তা সত্ত্বেও, শাসক মহলে বিরাট আশংকা রয়েছে যে, তীব্র অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে, খানের নির্বাচনের আহ্বান ফাটল সৃষ্টি করতে পারে যার মাধ্যমে শ্রমিক ও মেহনতি জনসাধারণের দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ ও বিরোধিতা ফুটে উঠতে পারে।

এই অভিজাত স্তরগুলির জন্য চিন্তা বিশেষ করে সামরিক কর্তাদের- যারা পাকিস্তানি পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ধারক এবং পাকিস্তানি বুর্জোয়া ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে কয়েক দশক-ব্যাপী প্রতিক্রিয়াশীল জোটের অপরিহার্য অংশ-এর উপর খানের আক্রমণের অস্থিতিশীল প্রভাব পরবে।

একদিকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও সরকারের মধ্যে সম্পর্ক এবং অন্যদিকে খানের সাথে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে খানকে আটক করার সিদ্ধান্তটি স্পষ্টতই ছিল খান দ্বারা পুনরায় একজন শীর্ষ সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসিরকে অভিযুক্ত করা যে গত নভেম্বরে তাঁর হত্যা প্রচেষ্টার জন্য তিনি দায়ী যা তাকে আহত করেছিল এই সিদ্ধান্তের কারণে।

বুধবারের একটি সম্পাদকীয়তে, পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি-ভাষা দৈনিক, ডন, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে সামরিক এবং সরকারের পদক্ষেপগুলি পাকিস্তানী পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের প্রতি শ্রমিক শ্রেণীর গভীর বিরোধিতার উত্থানকে ত্বরান্বিত করছে। ডন ঘোষণা করেছে, 'মিস্টার খানকে সরিয়ে দিলে কোনো সমাধান হবে না।' 'এর পরিবর্তে, গতকালের বিক্ষোভ যেমন দেখিয়েছে, তার গ্রেপ্তার জনগণ এবং দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে থাকা ঐতিহাসিক নিবিড় সম্পর্ককে গভীরভাবে ভেঙে ফেলতে পারে।' এটি অব্যাহত রেখেছিল:

হিংসতা এবং সংঘাত কখনই রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের উত্তর নয়, বিশেষত যখন অর্থনীতি ভেন্টিলেটরে থাকে তখন নয় এবং লোকেরা যখন তাদের জীবনকে সংজ্ঞায়িত করে এমন দৈনন্দিন হতাশার মধ্যে তাদের ক্রোধ প্রকাশ করতে চায়।

মিস্টার খানের গ্রেপ্তারের উস্কানি সরকার এবং সংস্থাকে বিতর্কের গভীরে নিয়ে গেছে এবং তাদের নীতির প্রতি আরও বেশি জনসাধারণের অবিশ্বাসের জন্ম দেবে। এটি একটি সর্বাত্মক ডিফল্টের দ্বারপ্রান্তে থাকায় দেশটির প্রয়োজন শেষ জিনিসটি। … যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত হতে থাকবে এবং জনসাধারণ নীরব থাকবে, অবিরাম সংঘর্ষ কেবল জনগণ এবং রাষ্ট্রের মধ্যে আরও বেশি বিভেদ সৃষ্টি করবে।

সামরিক বাহিনীও রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। বুধবার এটি ৯ই মে কে 'কালো দিবস' হিসাবে নিন্দা করে একটি বিবৃতি জারি করেছে যেখানে 'সেনা বিরোধী স্লোগান তোলার সময় সেনাবাহিনীর সম্পত্তি ও স্থাপনার উপর হামলা চালানো হয়েছিল।'

বিবৃতিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, 'আর কোনো আক্রমণ সেনাবাহিনী সহ সমস্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামরিক ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনা এবং সম্পত্তির উপর হলে তা কঠোরভাবে প্রতিশোধ নেওয়া হবে সেই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানকে গৃহযুদ্ধে ঠেলে দিতে চায় এবং বারবার আক্রমণ করেছে।'

পাকিস্তানের শ্রমিক ও মেহনতিদের অবশ্যই প্রতিবাদের বিরুদ্ধে নৃশংস দমন-পীড়নের বিরোধিতা করতে হবে। নিঃসন্দেহে, সামরিক বাহিনী-যা দেশের ইতিহাসের প্রায় অর্ধেক সময় ওয়াশিংটনের সমর্থনে সরাসরি পাকিস্তানকে শাসন করেছে-বর্তমান সংকটকে তার দমনমূলক নাগাল এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্প্রসারণের জন্য ব্যবহার করতে চাইছে।

সর্বোপরি, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটের সঙ্গম সাম্রাজ্যবাদ এবং পাকিস্তানি বুর্জোয়াদের সমস্ত দল এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের বিরোধিতায়, একটি স্বাধীন রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে শ্রমিক শ্রেণীর হস্তক্ষেপে ও এর পিছনে গ্রামীণ শ্রমজীবীদের জড়ো করার তাগিদকে নির্দেশ করে।

একজন প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন, ইমরান খান হলেন একজন প্রতারক, যিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সময় বারবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আইএমএফ এবং সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করেছেন পরের দিন তাদের আলিঙ্গন করার জন্য। তিনি ২০১৮ সালে একজন বহিরাগত হিসাবে সরকার গড়েছিলেন, তারপরে অবিলম্বে প্রাক্তন স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের সরকারের প্রাক্তন সদস্যদের একটি গ্রুপকে নিজের দিকে নিয়ে এসেছিলেন। আজ, তিনি ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর অন্যায় কর্মকাণ্ডের জন্য কান্না করছেন, যা রাজনৈতিকভাবে চালিত 'দুর্নীতি বিরোধী' সংস্থা। যাইহোক, ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি একইভাবে এটিকে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের জেলে ভরতে এবং নীরব করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন।

পিপিপি, ভুট্টো পরিবারের নেতৃত্বে রাজবংশীয় দল এবং যেটি আগে 'বাম' হিসাবে ভঙ্গি করতো কয়েক দশক ধরে, এটি আইএমএফের সাথে চুক্তি করেছে এবং ওয়াশিংটনকে প্রশ্রয় দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জর্জ ডব্লিউ. বুশ দ্বারা মোশাররফের স্বৈরাচারী শাসনকে একটি 'গণতান্ত্রিক' চেহারা প্রদানে সাহায্য করার চেষ্টা, তারপর ওবামার ড্রোন যুদ্ধকে সবুজ সংকেত, যা ২০০৯ সালে শুরু হওয়া পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশ ধ্বংস করেছিল।

পাকিস্তানে এক শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ স্বাধীন পুঁজিবাদী শাসন লিও ট্রটস্কির স্থায়ী বিপ্লবের তত্ত্বকে নিশ্চিত করেছে। বিলম্বিত পুঁজিবাদী বিকাশের দেশগুলিতে, সাম্রাজ্যবাদ থেকে প্রকৃত স্বাধীনতা সহ শ্রমজীবী মানুষের সবচেয়ে মৌলিক গণতান্ত্রিক এবং সামাজিক আকাঙ্ক্ষা, শুধুমাত্র বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রমিকদের ক্ষমতার জন্য সংগ্রামের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হতে পারে। এর জন্য দরকার একটি বিপ্লবী শ্রমিক দল গড়ে তোলা, চতুর্থ আন্তর্জাতিকের আন্তর্জাতিক কমিটির পাকিস্তানী শাখা।

Loading