বাংলা

ট্রাম্পের অর্থনৈতিক যুদ্ধের হুমকি বিশ্ব অর্থনীতির উপর অস্পষ্ট কালো মেঘ

২০২৪ এর শেষ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে, বৈশ্বিক অর্থনীতি দুটি আন্তঃসংযুক্ত ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে: ট্রাম্পের হুমকিকৃত শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব এবং চীন যা শিল্প উতপাদনের শক্তিস্থল।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তব্য রাখছেন, নিউ হ্যাম্পসায়ের এর লুসিনিয়াতে নির্বাচনি প্রচারে, ২২শে জানুয়ারী, ২০২৪ [AP Photo/Matt Rourke]

উভয়ের মধ্যে সংযোগ হল যে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক যুদ্ধ, যা আমেরিকাকে আবার গ্রেট বানানোর ব্যানারে চালানো হয়েছে, মার্কিন অর্থনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে চীনের উচ্চ প্রযুক্তির উন্নয়নের উত্থান ঠেকানোর চেষ্টা করার ভিত্তিই যার লক্ষ্য।

যদিও চীন যখন মূল লক্ষ্য, তবুও মার্কিন অর্থনৈতিক যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী। কানাডা, মেক্সিকো এবং ইউরোপকে ইতিমধ্যেই ১০-২০ শতাংশ শুল্কের হুমকি দেওয়া হয়েছে, যখন ট্রাম্প বলেছেন যে সমস্ত চীনা পণ্যের বিরুদ্ধে ৬০ শতাংশের শুল্ক নির্দেশিত হতে পারে।

এখন নিউ ইয়র্ক টাইমস যা বর্ণনা করেছে তা ইউরোপীয় সরকারগুলির দ্বারা নীতি প্রণয়ন করার জন্য একটি 'ঝাঁকুনি' হিসাবে বর্ণনা করেছে 'যার জন্য তারা আশংকা করছে একটি ট্রান্স-আটলান্টিক বাণিজ্য যুদ্ধ হতে পারে।'

ইউরোপীয় প্রবৃদ্ধি সবই স্থবির, ​ জার্মানি এর মূল অর্থনীতির কেন্দ্র, গাড়ী এবং অন্যান্য মূল উত্পাদন শিল্প-এর অর্থনীতির মেরুদণ্ড যেখানে হাজার হাজার চাকরি ছাঁটাই করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী সংস্থা, কী করতে হবে তা নিয়ে বিভক্ত।

ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের মতো অর্থনৈতিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যারা আছেন, যারা আরও বেশি মার্কিন রপ্তানি, বিশেষ করে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার উপর ভিত্তি করে তুষ্টির নীতির পক্ষে।

অন্যরা, যদিও, প্রতিশোধ নেওয়ার পক্ষে এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে। এখনও কোন দৃঢ় পদক্ষেপ প্রণয়ন করা হয়নি, অন্ততপক্ষে, কারণ এটি স্পষ্ট নয় যে ট্রাম্পের শুল্ক ব্যাবস্থা কোথায় আঘাত করবে।

কিন্তু এটি নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই যে সেগুলি আগত। গত শুক্রবার, ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন যে তিনি 'ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছেন যে তারা অবশ্যই আমাদের তেল ও গ্যাসের বড় আকার ক্রয় করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের বিশাল ঘাটতি পূরণ করবে। অন্যথায়, শুল্ক আগত!!!'

এই মাসে ফরাসি এবং জার্মান উভয় সরকারের পতনের সাথে, ইউরোপের রাজনৈতিক সংকট যা বিনা দ্বিধায় ট্রাম্পকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সাহসী করেছে।

ইউরোপীয় শক্তিগুলিকে কেবল মার্কিন শুল্ক জারি করার সরাসরি হুমকি দেওয়াই নয়। তারা চীনের উপর আরোপিত শুল্কের প্রবাহের প্রভাবের এবং মার্কিন বাজার থেকে বাদ দেওয়া পণ্যগুলিকে ইউরোপে সরিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করছে।

বাণিজ্যে এর প্রভাব ছাড়াও, ট্রাম্প এর অর্থনৈতিক যুদ্ধের হুমকি আর্থিক বাজার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগুলিকে প্রভাবিত করছে। গত সপ্তাহে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ দ্বারা ০.২৫ শতাংশের তথাকথিত 'তীক্ষ্ণ' হার ছাটাইয়ে এটি দেখা গেছে। ফেডের গভর্নিং বডির সদস্যরা যে কারণে পরের বছর আরও রেট কমানোর পূর্বাভাসকে চার থেকে দুইয়ে নামিয়ে এনেছে তার একটি কারণ শুল্কে মুদ্রাস্ফীতিমূলক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ।

ফেডের সিদ্ধান্তের পর, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড (BoE) সুদের হার স্থগিত রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে এবং 'মুদ্রাস্ফীতি অব্যাহত থাকার' বিষয়ে সতর্ক করেছে। এটি বলেছে যে বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তা 'বস্তুগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।'

BoE গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি বলেন, 'অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার সাথে, আমরা আগামী বছরে কখন বা কতটা রেট কমাব আমরা তার প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না।'

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছিলেন এবং এটি বাইডেনের অধীনে অব্যাহত এবং গভীরতর হয়েছে। শেষের প্রশাসনটি তার মনোযোগ বাণিজ্য ঘাটতির দিকে এতটা ফোকাস করেনি যতটা ট্রাম্পের সময়ে হয়েছে, যদিও ডেমোক্র্যাটরা তারই শুল্ক বজায় রেখেছে, যেমন চীনকে মার্কিন উচ্চ প্রযুক্তির পণ্যগুলির সুযোগ থেকে বাদ দেওয়া।

কিন্তু এমনকি এই পদক্ষেপগুলি, যা তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, পরের রাউন্ডের জন্য ট্রাম্প যা রেখেছেন তার তুলনায় কেবলমাত্র প্রাথমিক সংঘর্ষ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। চীনের বৃদ্ধির হার কমছে: সরকারী লক্ষ্য এই বছর 'প্রায় ৫ শতাংশ', যা তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন, এবং সামনের বছরগুলিতে বেশিরভাগ অর্থনৈতিক পূর্বাভাসকদের দ্বারা নিম্ন প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে চীন রপ্তানির ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন অনুসারে: “গোল্ডম্যান শ্যাক্স অনুমান করেছে যে রপ্তানি শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালে ৪.৯ শতাংশে সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধির প্রায় তিন চতুর্থাংশ অবদান রাখবে। তারা আশা করছে যে রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষতির ফলে এই সংখ্যাটি পরের বছর ৪.৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

এর মানে হল যে শাস্তিমূলক মার্কিন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রয়োজন শি জিনপিং সরকারের জন্য একটি অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে উঠছে।

অনেক আগেই সামাজিক সাম্যের প্রতি কোনো অঙ্গীকার পরিত্যাগ করেছে, সমাজতান্ত্রিক নীতিগুলিতো ছেড়েই দিন, চীনা শ্রমিক শ্রেণী এবং একটি ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অংশগুলির দৃষ্টিতে এর রাজনৈতিক বৈধতা উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নির্ভর করে।

কিন্তু যদি প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, তাহলে সামাজিক উত্তেজনা এবং শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলন খুব দ্রুত বিস্ফোরিত হতে পারে-একটি সত্য ভূত যা চীনা বিলিয়নেয়ার এবং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা অভিজাতদের প্রতিনিধি শি জিনপিং সরকারকে তাড়া করে।

যদিও এর অর্থনীতি দুর্বল, সর্বোপরি সম্পত্তি খাতে ঋণের পাহাড়ের কারণে, চীনের কাছে শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে যা দিয়ে পাল্টা আঘাত করা যায়। এটি ইতিমধ্যে কিছু ব্যবহার করতে শুরু করেছে, যেমনটি সাম্প্রতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং শীর্ষস্থানীয় মার্কিন উচ্চ প্রযুক্তি এবং এআই ফার্ম এনভিডিয়াতে একটি আস্থা-বিরোধী তদন্ত শুরু করতে দেখা গেছে।

সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যে, টাইমসের কলামিস্ট টমাস ফ্রিডম্যান চীনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে চূর্ণ করতে চাইলে আগত ট্রাম্প প্রশাসন যে সমস্যাগুলির মুখোমুখি হবেন তা তুলে ধরেছেন।

সাম্প্রতিক চীন সফরের প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন: 'আমরা যখন ঘুমাচ্ছিলাম তখন চীন উচ্চ-প্রযুক্তি উত্পাদনের সব বিষয়েই একটি দুর্দান্ত লাফ দিয়েছে।'

তিনি উল্লেখ করেছেন যে ট্রাম্প এখন যে চীনের মুখোমুখি হচ্ছেন তা আট বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিধর রপ্তানিকারী ইঞ্জিন। তিনি অর্থনীতির লেখক এবং ব্লগার নোয়াহ স্মিথের একটি সাম্প্রতিক পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যা জাতিসংঘের একটি সংস্থা দ্বারা সংকলিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে।

২০০০ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা শিল্প উৎপাদনে অপ্রতিরোধ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল যেখানে থেকে চীনে এসেছে মাত্র ৬ শতাংশ।

২০৩০ সালের মধ্যে, জাতিসংঘের সংস্থার তথ্য অনুসারে, চীন সমস্ত বিশ্ব উত্পাদনের ৪৫ শতাংশ হবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সমস্ত মিত্রদের ছাড়িয়ে যাবে। আধিপত্যের এই স্তরটি এর আগে মাত্র দুবার দেখা গেছে, শিল্প বিপ্লবের শুরুতে ব্রিটেনে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

অন্যরাও একই কথা বলেছেন।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্স-এর একজন সিনিয়র ফেলো অরবিন্দ সুব্রামানিয়ান, যার বক্তব্য ফাইনান্সিয়াল টাইমস এ উদ্ধৃত করা হয়েছে, বলেছেন যে চীনের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল 'আধিপত্যের একটি স্তর যা আমরা ইতিহাসে খুব কমই দেখেছি।' এবং এটি কেবল আরো শক্তিশালী হতে চলেছে।

লুসানের আইএমডি বিজনেস স্কুলের আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অধ্যাপক রিচার্ড বাল্ডউইনের মতে, যার গবেষণাটি এফটি দ্বারাও উদ্ধৃত করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মোট উৎপাদনে চীনের অংশ ১৯৯৫ সালের ৫ শতাংশ থেকে ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশে বেড়েছে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনগুণ বৃদ্ধি এবং পরবর্তী নয়টি দেশের চেয়ে বেশি।

ফ্রিডম্যান চীনা উৎপাদনের মাত্রার ব্যাপারে কিছু উদাহরণ দিয়েছেন। ২০১৯ সালে, যখন ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদ শেষ করছিলেন, তখন চীনা ব্যাংকগুলির নেট ঋণদান ছিল $৮৩ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, এটি এখন $৬৭০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চীন ১৭০টি জাহাজ নির্মাণ শুরু করেছে যা রপ্তানির জন্য কয়েক হাজার গাড়ি বহন করতে সক্ষম। COVID-19 মহামারীর আগে, 'বিশ্বের জাহাজ উতপাদনের কেন্দ্রগুলি বছরে মাত্র চারটি এই ধরণের জাহাজ সরবরাহ করত।'

তিনি বলেছিলেন যে লোকেরা নিজেই নিজেদের বোকা বানাচ্ছে যদি তাঁরা বিশ্বাস করে যে 'উন্নত উত্পাদনে চীনের শক্তি বৃদ্ধি কেবলমাত্র অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন থেকে'

প্রশ্ন জাগে যে বিশ্ব অর্থনীতিতে এই বিশাল অর্থনৈতিক পরিবর্তন কোথায় যাচ্ছে?

ফ্রিডম্যান লিখেছেন, চীনা অর্থনীতি ভারসাম্যহীন ছিল এবং অবশেষে এটির বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক জোট তৈরি করবে। উত্তরটি, তিনি বজায় রেখেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'প্রতিভাধর প্রকৌশলী-উদ্যোক্তা' ইলন মাস্ককে নিয়ন্ত্রন মুক্ত করতে হবে যিনি বৈদ্যুতিক গাড়ি, পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট এবং স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সিস্টেমের মতো 'বড় জিনিস' তৈরি করতে পারেন, অন্যদিকে চীনকে 'শিথিল করতে হবে' এবং অনুমতি দিতে হবে টেলর সুইফ্ট অ্যালবামের মতো বেশি খরচের কেনাকাটা করতে।

তাই তার প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ' কিভাবে ইলন মাস্ক ও টেলর সুইফ্ট মার্কিন-চীন সম্পর্ক ঠিক করবেন।'

এই কল্পকাহিনীর বিপরীতে, বাস্তবতা হল পুঁজিবাদের অধীনে অর্থনৈতিক সম্পর্কের কোন শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে না। চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পের উত্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি পুনঃভারসাম্য তৈরি করতে যাচ্ছে না, বরং অর্থনৈতিক যুদ্ধের তীব্রতা তৈরি করবে, যা বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বজায় রাখার জন্য সরাসরি সামরিক সংঘাতের দিকে পরিচালিত করবে।

বিশ্বায়িত উৎপাদনের মধ্যে বিশ্বের উৎপাদনশীল শক্তির সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হল আন্তর্জাতিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা—জাতীয় বিভাজন এবং মুনাফা ব্যবস্থার অবসান, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রজনন ক্ষেত্র।

এই দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সক্রিয় রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্টভাবে উঠে আসবে আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর সামনে, চীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং সারা বিশ্ব জুড়ে আগামী দিনগুলিতে যখন বিশ্ব পুঁজিবাদের দ্বন্দ্বগুলি আরও বিস্ফোরক রূপ ধারণ করবে।

Loading