বাংলা

শ্রীলঙ্কার পোশাক শ্রমিকদের প্রতি আবেদন: শুল্ক যুদ্ধ চাকরি এবং মজুরির উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করতে হবে

শ্রীলঙ্কার ওয়েলিগামার ভোগ টেক্স কারখানার শ্রমিকরা [Photo: Facebook/Vogue Tex, Weligama]

ইতিমধ্যেই কম মজুরি এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলা পোশাক শ্রমিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্ররোচিত শুল্ক যুদ্ধের ফলে নৃশংস আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার গার্মেন্ট ওয়ার্কাস অ্যাকশান কমিটি (GWAC) দেশজুড়ে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পোশাক শ্রমিকদের জরুরিভিত্তিতে তাদের চাকরি, মজুরি, কর্মপরিবেশ এবং মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক যুদ্ধ আবারও দেখায় যে এটি একটি আন্তর্জাতিক সংগ্রাম। আমরা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির পোশাক উৎপাদনকারী শিল্পের সকল শ্রেণীর ভাইবোনদের, এবং যারা এখন একই আক্রমণের মুখোমুখি, তাদের অধিকার রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাই। এই পদক্ষেপটি বৃহৎ মার্কিন এবং ইউরোপীয় খুচরা বিক্রইয়কারী যারা ক্লায়েন্ট দেশগুলি থেকে পোশাক কেনে তাদের শ্রমিকদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে হবে।

শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম এবং মায়ানমারে যথাক্রমে ৪৪, ৪৯, ৪৮, ৪৬ এবং ৪৪ শতাংশর শুবিশাল শুল্কের সম্মুখীন। ট্রাম্পের ৯০ দিনের শুল্ক বৃদ্ধির 'বিরতি' এই দেশগুলিতে শিল্পের উপর যেই প্রভাব ফেলছে সেই সংকট দূর করবে না, সমাধানও করবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানিমূলক বাণিজ্য যুদ্ধের পদক্ষেপগুলি বিশ্বকে গ্রাস করছে, যা মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং বিশ্বকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

আমেরিকা শ্রীলঙ্কার পোশাকের একক বৃহত্তম বাজার, গত বছর দেশটি ১.৫ বিলিয়ন ডলার বা দেশের মোট পোশাক রপ্তানির ৪০ শতাংশ এখান থেকে আয় করেছে। পাবলিকফাইনান্স.এলকে সংস্থা অনুমান করেছে যে নতুন শুল্ক হারের ফলে আমেরিকায় রপ্তানি ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে এবং বার্ষিক ৩০ কোটি ডলার ক্ষতি হবে। পোশাক শিল্পে এই পতনের ফলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে, পাশাপাশি মজুরি ও কর্মপরিবেশ হ্রাস পাবে।

বর্তমানে, শ্রীলঙ্কার পোশাক শিল্পে ৩,৫০,০০০ এরও বেশি শ্রমিক সরাসরি নিযুক্ত আছেন, সাথে ৬,০০,০০০ পরোক্ষ শ্রমিক রয়েছে। বেশিরভাগ পোশাক শ্রমিককে ৩৫,০০০ টাকা (১১৬ মার্কিন ডলার) গড় মাসিক মজুরি দেওয়া হয়। উৎপাদন এর কঠিন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে বাধ্য হয়, তারা আরও বেশি আয়ের জন্য ওভারটাইম কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। পোশাক কোম্পানিগুলি উৎপাদন খরচ কমাতে ক্রমবর্ধমানভাবে কম মজুরির ঠিকাদারী কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করছে।

ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ কেবল পোশাক শিল্পের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকরী সমস্ত দেশের উপর এর তীব্র প্রভাব পড়বে এবং বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সংকট তৈরি হবে।

মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধিতে হতবাক হয়ে জনতা ভিমুক্তি পেরামুনা/ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (জেভিপি/এনপিপি) সরকার 'জাতীয় ঐক্য'র আহ্বান জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি দিশানায়েক ১১ এপ্রিল একটি সর্বদলীয় সম্মেলন (এপিসি) আহ্বান করেছেন।

সমস্ত বিরোধী সংসদীয় দলগুলি - যার মধ্যে রয়েছে সমগি জানা বালাওয়েগায়া, ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি, শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা এবং তামিল আরাসু কাচ্চি – এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছে এবং সরকারকে সমর্থন করতে সম্মত হয়েছে।

দিশানায়েকে ট্রাম্প প্রশাসনকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য তার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। বৃহৎ ব্যবসায়িক লবি গ্রুপগুলি - সিলন চেম্বার অফ কর্মাস এবং জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরাম - দিশানায়েক সরকারকে কর আরও কমানো এবং অন্যান্য ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। শ্রীলঙ্কার এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সমর্থন করার জন্য মরিয়া হয়ে, কলম্বো সরকার সংকটের পুরো বোঝা শ্রমিক শ্রেণীর পিঠে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেবে। এই আক্রমণগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বর্বর ব্যয় কঠোরতা কর্মসূচির যা এখন JVP/NPP সরকার দ্বারা অব্যাহত রয়েছে সেগুলির সাথে আলাদা আক্রমণ হিসাবে যুক্ত হবে।

ট্রেড ইউনিয়ন আমলাদের বিশ্বাসঘাতক ভূমিকা

যখন শ্রমিকদের এই ক্রমবর্ধমান আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন, তখন ট্রেড ইউনিয়ন আমলারা রাজনৈতিকভাবে শ্রমিকদের নিরস্ত্র করছে এবং সরকার ও নিয়োগকর্তাদের আক্রমণকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল এবং সাধারণ পরিষেবা কর্মচারী ইউনিয়ন (FTZGSEU) এর সাধারণ সম্পাদক অ্যান্টন মার্কাস পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কোম্পানি এবং ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংসদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কাস পরামর্শ দিয়েছেন যে শ্রীলঙ্কা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়ে এবং অন্যান্য আমদানির উপর শুল্ক কমিয়ে ট্রাম্পের হৃদয় 'জয়' করতে পারে।

৪ই এপ্রিল, সিলন মার্কেন্টাইল ইউনিয়ন (CMU) এর সাধারণ সম্পাদক এস.পি. নাথান ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত আবেদন পাঠিয়ে 'পূর্ববর্তী শুল্ক হারে ফিরে যাওয়ার' আহ্বান জানিয়েছেন কারণ হাজার হাজার শ্রীলঙ্কান শ্রমিক তাদের চাকরি হারাবেন।

ওয়াশিংটনের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার প্রতি এই করুণ আবেদন, যারা প্রতিদিন অভিবাসীদের বহিষ্কার করছে, গাজা গণহত্যার বিরোধীদের জেলে পাঠাচ্ছে, সামাজিক পরিষেবা, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান ধ্বংস করছে এবং হাজার হাজার সরকারি চাকরি ধ্বংস করছে, তাদের কাছে এই করুণ আবেদন ভস্মে ঘি ঢালা।

অতীতের মতো, শ্রীলঙ্কার ট্রেড ইউনিয়ন আমলাতন্ত্র, যার মধ্যে রয়েছে FTZGSEU, CMU, JVP-নিয়ন্ত্রিত ইন্টার-কোম্পানি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (ICWU) এবং অন্যান্যরা, কলম্বো সরকার এবং বড় কোম্পানিগুলির সাথে তাদের সহযোগিতা আরও গভীর করে প্রতিটি সংকটের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিশ্ব মন্দার সময়, ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা সরকারের জাতীয় শ্রম উপদেষ্টা পরিষদে (NLAC) যোগ দিয়েছিলেন এবং কারখানা বন্ধ এবং ব্যাপক ছাঁটাইকে সমর্থন করেছিলেন।

২০২০ সালে যখন COVID-19 মহামারী শুরু হয়, তখন রাষ্ট্রপতি গোটাভায়া রাজাপক্ষে নিয়োগকর্তা, শ্রম কর্মকর্তা এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সমন্বয়ে একটি COVID-19 'ত্রিপক্ষীয় টাস্ক-ফোর্স' গঠন করেছিলেন। এর কাজ ছিল ছাঁটাই, মজুরি কমানো এবং শ্রমিকদের অনিরাপদ পরিস্থিতিতে কাজ করার জন্য কোম্পানির প্রস্তাব চাপিয়ে দেওয়া। ৪০টি কারখানা বন্ধ হওয়ার পর কমপক্ষে ১,৫০,০০০ শ্রমিক এবং ছোট কারখানাগুলি বন্ধ হওয়ার কারণে আরও ৭৩,০০০ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে।

২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পতনের সময়, যা লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে নিয়ে ব্যাপক সংগ্রামের সূত্রপাত করে, ট্রেড ইউনিয়ন শাসনযন্ত্র হাজার হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কিছুই করেনি। একইভাবে, ট্রেড ইউনিয়নগুলি রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে সরকারের সাথে আইএমএফ নীতিগুলিকে সমর্থন করেছিল এবং এখন আইএমএফ ব্যয় কঠোরতা আরোপের জন্য দিশানায়েকে শাসনকে সহায়তা করছে।

শ্রমিকদের কী করা উচিত?

এই মাসের শুরুতে, ভোগ টেক্স পোশাক শ্রমিকরা ৮ এবং ৯ এপ্রিল একটি শক্তিশালী ধর্মঘট পালন করে যখন কোম্পানিটি হঠাৎ করে মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির উদ্ধৃতি দিয়ে ঘোষণা করে যে তারা শ্রমিকদের নিয়মিত বার্ষিক ছুটির বোনাস দেবে না। ভোগ টেক্স শ্রমিকদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শিল্প পদক্ষেপ তাদের লড়াইয়ের ইচ্ছা স্পষ্ট করে দিয়েছে, পোশাক শ্রমিকরা কেবল তখনই এগিয়ে যেতে পারে যদি তারা একটি নতুন কৌশল গ্রহণ করে।

গার্মেন্টস শ্রমিক অ্যাকশন কমিটি পোশাক শ্রমিকদের সতর্ক করে দিচ্ছে যে, অতীতের মতো ইউনিয়ন আমলাতন্ত্রকে সরকার এবং বৃহৎ ব্যবসায়িদের দাবি চাপিয়ে দেবার সুযোগ যেন তারা না দেয়।

শ্রমিকদের তাদের মজুরি এবং কাজেরপরিবেশ রক্ষার লড়াই তাদের নিজেদের হাতে নিতে হবে। এই কারণেই গার্মেন্টস শ্রমিক অ্যাকশন কমিটি পোশাক শ্রমিকদের সকল কারখানা এবং তাদের আশেপাশের এলাকায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অ্যাকশন কমিটি গঠনের আহ্বান জানাচ্ছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার সমর্থক ইউনিয়ন আমলাতন্ত্র এবং সংসদীয় দলগুলির প্রতিনিধিদের এই স্বাধীন কমিটিগুলিতে কোনও স্থান থাকতে পারে না।

এই শ্রমিক-শ্রেণীর কমিটিগুলি নিয়োগকর্তা এবং সরকারের আক্রমণ মোকাবেলায় প্রতিবাদ, ধর্মঘট এবং কারখানা দখল সহ কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাদের বেসরকারি শিল্প এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রগুলি জুড়ে অন্যত্র শ্রমিকদের সাথে সমন্বয় করা উচিত।

পোশাক শ্রমিকদের দাবি করতে হবে:

  • চাকরি ছাটাই, মজুরি এবং কাজেরপরিবেশ হ্রাস না করা! বর্ধিত কাজের চাপ না বাড়ানো।
  • সমস্ত রকমের কারখানা বন্ধের বিরোধিতা করুন, কারখানা দখল সহ শিল্প পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকুন। নিয়োগকর্তা এবং ইউনিয়ন আমলাতন্ত্রদের দ্বারা নির্ধারিত সামান্য ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখ্যান করুন। নতুন চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত পূর্ণ বেতনের ক্ষতিপূরণ দাবি করুন।
  • প্রকৃত মজুরি হ্রাস পূরণের জন্য শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে হবে। সকল মজুরি জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে সূচিবদ্ধ করতে হবে।
  • সম্পূর্ণ বেতনভুক্ত চিকিৎসা ছুটি। উপযুক্ত আবাসন এবং স্বাস্থ্য সুবিধা।

আইএমএফের ব্যয় কঠোরতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো, মার্কিন সরকারের শুল্ক যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক পরিণতির বিরুদ্ধে লড়াই আন্তর্জাতিক। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট এবং ক্রমবর্ধমান শুল্ক যুদ্ধের জন্য শ্রমিকরা দায়ী নয়।

রাষ্ট্রপতি দিশানায়েকে শুল্ক সংকটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে 'জাতি হিসেবে সকলকে এর মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার' আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু কেন শ্রমিকরা বৃহৎ ব্যবসার জন্য তাদের অধিকার ত্যাগ করবে? শ্রমিকরা মুনাফা ব্যবস্থার মধ্যে তাদের চাকরি, মজুরি, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং তাদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে পারে না।

শ্রীলঙ্কার পোশাক শ্রমিকদের তাদের আন্তর্জাতিক শ্রেণীর ভাইবোনদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। চতুর্থ আন্তর্জাতিকের আন্তর্জাতিক কমিটির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক শ্রেণীর সংগ্রামের একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক জোটের র‍্যাঙ্ক-এন্ড ফাইল (সাধারণ স্তরে) কমিটিতে যোগদান এবং তা গঠনের মাধ্যমেই এটি অর্জন করা সম্ভব।

আমরা বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস এবং অন্যান্য দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির পোশাক শ্রমিকদের কাছে সরাসরি আবেদন করছি যে তারা এই সংগ্রামে আমাদের সাথে যোগ দিন। আমরা আপনার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করতে এবং শ্রমিকদের অ্যাকশন কমিটি গঠনে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:

টেলিফোন/হোয়াটসঅ্যাপ: +94773562327

ইমেল: action.committees.sl@gmail.com

Loading