ভারতের বৃহত্তম আইটি কোম্পানি টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS) তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ছাঁটাই শুরু করেছে, যার ফলে প্রায় ১২,০০০ কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে - যা তাদের বিশ্বব্যাপী কর্মীবাহিনীর প্রায় ২ শতাংশ। ট্রেড ইউনিয়ন সূত্র এবং মিডিয়া রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এই ছাঁটাই এমন এক সময়ে করা হচ্ছে যখন TCS প্রতি ত্রৈমাসিকে ১২০০০ কোটি টাকারও বেশি ($১.৩ বিলিয়ন) মুনাফা অর্জন করছে, যার লাভের পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশ।
১৯ আগস্ট, আইটি কর্মীরা চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পুনে এবং হায়দ্রাবাদ সহ ভারত জুড়ে TCS অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। স্ট্যালিনিস্ট-নেতৃত্বাধীন সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (CITU) এর সাথে সম্পর্কিত একটি ইউনিয়নের সমর্থনে সীমিত এবং সংগঠিত হলেও, বিক্ষোভগুলি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে আইটি কর্মীদের একটি অংশ ক্রমবর্ধমানভাবে সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করছে এবং নিজেদেরকে শ্রমিক শ্রেণীর অংশ হিসেবে চিহ্নিত করছে। কর্পোরেট গেটের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন এবং মিডিয়া এবং তাদের নিয়োগকর্তাদের দ্বারা 'মধ্যবিত্ত' হিসেবে চিহ্নিত, এই আইটি কর্মীরা শ্রেণী সংগ্রামের পথে প্রবেশ করছে।
এই বিক্ষোভগুলি টিসিএসের কর্মীদের, যারা প্রায়শই তাদের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রচুর কষ্ট সহ্য করেছেন, তাদের জীবিকা নির্মূল করার প্রস্তুতি এবং দৈত্যকায় আইটি কোম্পানিগুলির নির্মমভাবে লাভের বিরুদ্ধে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে। যাইহোক, ইউএনআইটিই (আইটি এবং আইটিইএস কর্মচারীদের ইউনিয়ন) এর নেতারা নিশ্চিত করেছেন যে এই পদক্ষেপগুলি প্রতীকী থাকবে, জঙ্গিবাদকে নিরাপদ প্রতীকী বিক্ষোভে রূপান্তরিত করেছে এবং বৃহৎ ব্যবসা-বান্ধব রাষ্ট্র কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের পক্ষে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন করেছে।
আইটি কর্মীদের উপর এই আক্রমণ বিশ্বব্যাপী চাপের সাথে জড়িত। টিসিএস এবং এর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাকসেনচার, আইবিএম, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস এবং অন্যান্য বহুজাতিক কোম্পানির মতো বিশ্বব্যাপী দৈত্যকায় আইটি কোম্পানিগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ক্লাউড পরিষেবাগুলিতে বিলিয়ন ডলারের চুক্তির জন্য প্রতিযোগিতা করছে। তারা তাদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য যখন চাকরি কমিয়ে দিচ্ছে তখন বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের তারা প্রতিযোগিতামূলক দর দিচ্ছে।
তাছাড়া, আন্তর্জাতিক উত্তেজনা, সর্বোপরি ওয়াশিংটনের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে এই আক্রমণ আরও তীব্রতর হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন, যা ইতিমধ্যেই ভারতের পণ্য রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছে, ভারতীয় আইটি পরিষেবা সহ পরিষেবাগুলিতে একইভাবে শুল্ক আরোপের হুমকি দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় আউটসোর্সিং সংস্থাগুলির জন্য সবচেয়ে বড় বাজার। টিসিএস এবং ইনফোসিসের মতো সংস্থাগুলি এই চাপের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কর্মীদের চাপ বাড়িয়ে কাজের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে কাজের দীর্ঘ সময় বাড়িয়ে এবং মজুরি হ্রাসের মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন করেছে এবং চাকরি ছাঁটাই করার জন্য এআই ব্যবহার করেছে।
ভারতীয় বৈশিষ্ট্য তো দূরের কথা, এটি একটি বিশ্বব্যাপী কর্পোরেট আক্রমণের অংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওরাকল এবং ইউরোপের অন্যান্য দৈত্যকায় কোম্পানিগুলি একই রকমভাবে ব্যাপক কাটছাঁট করেছে। অন্যদিকে, এই মাসের শুরুতে ওরাকলের সিইও এবং বিশিষ্ট ট্রাম্প-সমর্থক ল্যারি এলিসনের সম্পদ এক দিনে ১০০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তাকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি করে তুলেছে।
আইটি কর্মীদের উপর আক্রমণ কেবলমাত্র বিদ্যমান কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এই সেক্টর জুড়ে নতুন নিয়োগে ধ্বস নামছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি দেখায় যে সামগ্রিক নিয়োগে ২-৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, টিসিএস এবং ইনফোসিস সহ ছয়টি বৃহত্তম আইটি সংস্থা সাম্প্রতিক মাত্র ৩,৮০০ জন কর্মী নিয়েছে - যা আগের সময়ের তুলনায় বিস্ময়করভাবে ৭২ শতাংশ কম।
জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে, প্রযুক্তিগত নিয়োগ আরও ১০ শতাংশ কমেছে, দেশব্যাপী মাত্র ৪৩,০০০ নতুন চাকরির জায়গা হয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় এক চতুর্থাংশ এবং ২০২২ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশেরও বেশি। কোম্পানিগুলি সম্প্রসারণ করছে না বরং একত্রিত করছে, কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় পদগুলি পুনরায় পূরণ করছে এবং অবশিষ্ট কর্মীদের উচ্চতর 'কাজের হার' জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে।
এই নিয়োগ স্থগিতকরণ তরুণ স্নাতকদের জন্য বিধ্বংসী প্রভাব ফেলবে। বিশ্লেষকরা অনুমান করেছেন যে আইটি সংস্থাগুলি ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে পূর্বাভাসের তুলনায় ১৫০,০০০ কম কর্মী নিয়োগ করবে। আইটিতে নিরাপদ, ব্যাপক হোয়াইট-কলার কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি ভেঙে পড়ছে, অন্যদিকে কোম্পানিগুলি একই সাথে এআই, মেশিন লার্নিং এবং ক্লাউড প্রকল্পে বিনিয়োগের গর্ব করছে। ফলাফল একটি ভয়াবহ বৈপরীত্য: হাজার হাজার চাকরি ধ্বংস হয়েছে বা আটকে আছে, যখন চাহিদা কেবল 'বিশেষ' প্রতিভার সংকীর্ণ স্তরে পুনঃনির্দেশিত হচ্ছে।
ভারতীয় আইটি স্নাতকদের সম্ভাবনাকে আরও খারাপ করে তুলছে ট্রাম্প প্রশাসনের H-1B ভিসার জন্য $100,000 ডলার দেওয়া নির্ধারিত করার এবং চাপানোর পরিকল্পনা, যা আমেরিকান ফার্স্ট যা উগ্রতা এবং বিদেশীদের প্রতি ভয় জাগানোর অংশ।
AI এবং অটোমেশন, মানব জ্ঞানের অসাধারণ অগ্রগতি, ক্রমবর্ধমানভাবে আইটি এবং আইটি-সক্ষম পরিষেবা খাত সহ সকল শিল্পে কর্মীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কে 'উপযোগী' এবং কে ব্যবহারযোগ্য নয় তা নির্ধারণ করার জন্য অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়। মনিটরিং সফ্টওয়্যার প্রতিটি কীস্ট্রোক রেকর্ড করে, এবং খরচ কমানোর জন্য কাজগুলিকে সহজেই বিকল্প ইউনিটে বিভক্ত করা হয় - এমন একটি প্রক্রিয়ায় যাকে 'ডিজিটাল টেলরিজম' বলা হয়েছে।
কর্পোরেট ব্যবস্থাপনায় 'দক্ষতা' বিষয়টি আইটি কর্মীদের উপর একটি নৃশংস আক্রমণে রূপান্তরিত হয়। কর্মীদের বলা হয়, 'পদত্যাগ করুন, নাহলে আমরা আপনার বিষয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়া জানাব,' বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যার ফলে নিশানাকৃত কর্মীদের ক্ষেত্রে অন্যত্র কাজ খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
একটি সাধারণ কৌশল হল অভিজ্ঞ, ভাল বেতনের কর্মীদের ছাঁটাই করে তাদের জায়গায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম বেতনের নতুন কর্মচারীদের নিয়োগ করা।
ব্যাপক কর্মসংস্থান ছাঁটাই ঘোষণার পর, টিসিএস চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে, গড়ে ৪.৫ থেকে ৭ শতাংশ।
একই সময়ে, সিইও কে. কৃত্তিবাসন ২৬.৫ কোটি টাকা বা ৩.১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক বেতন প্যাকেজ ঘরে তুলেছেন, যা টিআরএসের গড় বেতনের প্রায় ৩৩০ গুণ। এই বাস্তবতা পুঁজিবাদের নগ্ন সত্যকে তুলে ধরে: আনুগত্য এবং কয়েক দশকের অভিজ্ঞতার কোনও মূল্য নেই, অন্যদিকে অফিসার এবং শেয়ারহোল্ডাররা ক্রমশ ধনী হচ্ছেন।
আরেকটি বৃহৎ ভারতীয় আইটি সংস্থা ইনফোসিস একই পথ অনুসরণ করেছে। এই বছরের শুরুতে, এটি নীরবে শত শত প্রশিক্ষণার্থীকে বরখাস্ত করেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা, নারায়ণ মূর্তি, সম্প্রতি 'জাতীয় উৎপাদনশীলতা' বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে সত্তর ঘন্টা কাজের সময় আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কর্ণাটকে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তি খাতে কাজের সময় বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে, কর্পোরেট লবির কাছে নতি স্বীকার করেছে এবং প্রকাশ্যে বৃহৎ ব্যবসার পক্ষ নিয়েছে। হিন্দু আধিপত্যবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), কংগ্রেস পার্টি, বা বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বে, কেন্দ্র এবং রাজ্যে ভারতের সরকারগুলি সকলেই শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে আইটি কর্পোরেশনগুলির লাভকে রক্ষা করে।
'কর্ম-জীবনের ভারসাম্য' খুঁজতে শ্রমিকদের পদত্যাগের ভাইরাল গল্পগুলি অসন্তোষের গভীরতা প্রকাশ করে। এমনকি কর্পোরেট স্বার্থের মুখপাত্র মূলধারার সংবাদমাধ্যমও এখন স্বীকার করেছে যে অনেক আইটি কর্মী ইউনিয়ন গঠনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।
আইটি কর্মীদের বিচ্ছিন্নতায় ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ৯ই জুলাই, ২০২৫ সালের সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটে কিছু আইটি কর্মীর অংশগ্রহণ তাদের দীর্ঘস্থায়ী বিচ্ছিন্নতার বিরুদ্ধে এবং ইউনিয়ন ব্যবস্থাপকদের সাংগঠনিক সমর্থনের অভাব সত্ত্বেও গৃহীত হয়েছিল। এটি শ্রমিকদের জঙ্গিবাদ এবং স্বাধীনভাবে শ্রমিক শ্রেণীর অন্যান্য অংশের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা উভয়ই প্রকাশ করেছে।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত স্ট্যালিনবাদী নেতৃত্বাধীন ইউনিয়নগুলি শিল্পক্ষেত্রে ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কয়েক দশক ধরে, এই সংগঠনগুলি ভারী শিল্প থেকে শুরু করে সরকারি চাকরি পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্মঘটকে বিচ্ছিন্ন এবং সেগুলির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, সেই সাথে রাজনৈতিকভাবে শ্রমিক শ্রেণীকে পুঁজিবাদী দলগুলির সঙ্গে বেঁধে রেখেছে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালার মতো রাজ্যে ক্ষমতায় থাকাকালীন, স্ট্যালিনবাদী সিপিএম এবং সিপিআই বেসরকারীকরণ করেছে এবং কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে, তাদের স্ব-ঘোষিত 'বিনিয়োগকারী-পন্থী' নীতির অংশ হিসাবে, সিপিএম-নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার আইটি এবং আইটিইএস কর্মীদের ধর্মঘটকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
জাতীয়ভাবে, অতি-ডানপন্থী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে, তারা কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন করে, যা মোদী সরকার ব্যর্থতায় শাসক শ্রেণীকে একটি ডানপন্থী বিকল্প প্রদান করবে। ভারত-মার্কিন সামরিক-কৌশলগত জোটের প্রতি এবং ব্যয় কঠোরতা, বেসরকারীকরণ এবং অনিশ্চিত চুক্তি-শ্রমিক কর্মসংস্থানের প্রচারের মাধ্যমে শ্রমিক-শোষণকে তীব্রতর করার প্রতি যারা কম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে না।
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা ক্রমবর্ধমানভাবে বুঝতে পারছেন যে তারা দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে ছাঁটাই এবং নৃশংস কর্মপরিবেশের মুখোমুখি হওয়া উৎপাদন ক্ষেত্রের অ্যাসেম্বলি লাইনের শ্রমিকদের থেকে খুব বেশি আলাদা নন। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের সমস্যাগুলি কেবলমাত্র শ্রেণী সংগ্রামের বিকাশের মাধ্যমেই সমাধান করা যেতে পারে - শ্রমিক শ্রেণীর একটি স্বাধীন শিল্প ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলে।
বুর্জোয়া আইন আদালত বা সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্কার কাছে আপিল করে অথবা বিদ্যমান ইউনিয়ন শাসনযন্ত্রকে অনুসরণ করার উপর নির্ভর করে এগিয়ে যাওয়ার পথ পাওয়া যাবে না। এই সংগ্রাম পরিচালনা করার জন্য, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের স্বাধীনভাবে সংগঠিত হতে হবে, পুঁজির একনায়কত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে এমন দাবিগুলির জন্য লড়াই করতে হবে:
*কোনও ছাঁটাই এবং জোরপূর্বক পদত্যাগ নয়।
*জবরদস্তিমূলক মূল্যায়ন ব্যবস্থা এবং নির্যাতনের অবসান।
*সমস্ত চুক্তিভিত্তিক চাকরিকে স্থায়ী পদে রূপান্তর।
*ব্যক্তিগত মুনাফা নয়, বরং মানুষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরিচালিত গণতান্ত্রিকভাবে পরিকল্পিত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির অংশ হিসেবে দৈত্যকায় আইটি সংস্থাগুলিকে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে পাবলিক উদ্যোগে রূপান্তরিত করা।
এর জন্য প্রতিটি আইটি অফিসে রাজনৈতিক দল ও পুঁজিপতি শ্রেণীর ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে শ্রমিক শ্রেণীর অন্যান্য অংশের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি র্যাঙ্ক এন্ড ফাইল (সাধারণ স্তরে)কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। ছাঁটাই এবং নিন্মমূখী নিয়োগের মাধ্যমে আইটি কর্মীদের যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা প্রকাশ করে যে পুঁজিবাদ কেবলমাত্র নিরাপত্তাহীনতা, অবিরাম নজরদারি এবং কাজের সময় এর দীর্ঘতরতাই প্রদান করতে পারে। আইটি কর্মীদের প্রতিরোধ কেবল তখনই সফল হবে যদি এটিকে একটি সচেতন, আন্তর্জাতিক এবং সমাজতান্ত্রিক নেতৃত্ব দেওয়া হয়।
